সস্ত্রীক পি আর রথীশ কুমার। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
রাত পোহাতেই বরাত জোরে কোটিপতি হয়ে গেলে অনেকেই অনেক রকমের স্বপ্ন দেখেন। কেউ ভাবেন চুটিয়ে ঘুরে বেড়াবেন গোটা বিশ্ব। দিনকয়েক যথাসম্ভব ডুবে থাকবেন বিলাসব্যসনে। কেরলের পি আর রথীশ কুমার অবশ্য সেই ভাবে ভাবেন না। তাঁর মনে পড়ে যায় কেরলের বানভাসি মানুষের কথা।
দুবাই ডিউটি-ফ্রি লটারির প্রায় সাত কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার প্রাপ্তির খবরটা পেয়ে প্রথমে তাঁর বিশ্বাসই হয়নি। পরে যখন খবরের সত্যতায় নিশ্চিত হন, তখন মোটামুটি ঠিক করে ফেলেন, ওই অর্থ খরচ করবেন তিনি কেরলের বানভাসি পরিবারগুলির অভাব ঘোচাতে। রথীশের কথায়, ‘‘কেরলের বানভাসিদের আগেও সাহায্য করেছি। এ বারও ওঁদের জন্য কিছু করার ভাবনাটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।’’
দুবাই ডিউটি-ফ্রি (ডিডিএফ) র্যাফেল লটারির ১০ লক্ষ ডলারের প্রথম পুরুস্কারটি রথীশ পেয়েছেন মঙ্গলবার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৭ কোটি টাকার কাছাকাছি।
আরও পড়ুন- ফের বিশ্বকে অবাক করে ড্রোন উড়িয়ে আকাশ আলোয় ভরাল চিন
আরও পড়ুন- তিয়েনআনমেনের যন্ত্রণা বুকে ৩০ বছর
রথীশের আদত বাড়ি কেরলের কোট্টায়াম জেলায়। স্ত্রীকে নিয়ে প্রায় এক দশক রয়েছেন দুবাইয়ে। সেখানে একটি বেসরকারি সংস্থায় ফিনান্স ম্যানেজারের কাজ করেন তিনি। হঠাৎই কেটে ফেলেছিলেন লটারির একটা টিকিট। ভাবতেও পারেননি সেটা তাঁর কপালে লেগে যাবে। রথীশের কথায়, ‘‘একটা ফোন এল দুবাই ডিউটি-ফ্রি র্যাফেল লটারির তরফে। খবরটা পাওয়ার পর হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলাম। সত্যি তো? তার পর নানা দিক থেকে ফোন আসতে লাগল। তখন বিশ্বাস হল। আমি নিয়মিত ভাবে লটারির টিকিট কিনতাম না। হঠাৎই কিনে ফেলেছিলাম ২ এপ্রিল। ভাবতেও পারিনি, পেয়ে যাব। রমজানের মাসেই সেটা পেলাম বলে খুব আনন্দ হচ্ছে। এই শহর (দুবাই) থেকে অনেক কিছুই পেয়েছি, করেওছি।’’