মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
ভগিনী নিবেদিতার বসতবাড়িটি হেরিটেজ ঘোষণার অনুষ্ঠানে নভেম্বরে লন্ডন যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিটিশ সরকারি সংস্থা ‘ইংলিশ হেরিটেজ’-এর কিউরেটোরিয়াল ডিরেক্টর আনা অ্যাভিস মুখ্যমন্ত্রীকে এক চিঠিতে গত ২৮ অক্টোবর ওই অনুষ্ঠানে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেন। কিন্তু সে দিন যুব বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে তাতে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। সে কথা জেনে ‘ইংলিশ হেরিটেজ’ ওই অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ বদলে নিয়েছে। নতুন দিনক্ষণ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁরা ফের আমন্ত্রণ পাঠান। তা মুখ্যমন্ত্রী গ্রহণ করেছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে নভেম্বরে লন্ডন গিয়ে ভগিনী নিবেদিতার বাড়ি হেরিটেজ ঘোষণার অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত থাকবেন।
ভারতের হাই কমিশনার, লন্ডনের মেয়র সাদিক খান, ব্রিটেনের রামকৃষ্ণ বেদান্ত সেন্টারের স্বামী দয়াত্মানন্দ, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দেরও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা। লন্ডন সফরের সময়ে ২০১৮ সালের বিশ্ববঙ্গ সম্মেলনের একটি রোড-শো ও শিল্প সম্মেলন হওয়ার কথা। সেটি চূড়ান্ত হলে তাতেও যোগ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
ব্রিটিশ সরকারি সংস্থা ইংলিশ হেরিটেজ ১৮৬৬ সালে তৈরি করা হয়েছিল। ব্রিটেনের বিশিষ্টজনেদের স্মৃতিবিজড়িত স্থান চিহ্নিত করার কাজ করে এই সংস্থা। ১৮৯৯ সালে ভগিনী নিবেদিতা স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে লন্ডনের উইম্বলডনে ২১, হাই স্ট্রিটের বাড়িতে এসেছিলেন। বিলেতে থাকাকালীন এই বাড়িতে স্বামীজি বেশ কয়েকদিন ছিলেন। নিবেদিতা ও তাঁর পরিবার পাশের একটি বাড়িতে থাকতেন। ১৯০২ সাল পর্যন্ত সেটিই ছিল নিবেদিতার বাড়ি।
লন্ডনের বাঙালিদের একাংশ ব্রিটিশ সরকারের কাছে ওই বাড়িটি হেরিটেজ ঘোষণা করার জন্য ২০১৬ সালে আবেদন করেছিলেন। ইংলিশ হেরিটেজ তা মঞ্জুর করেছে। সেই বাড়িটির সামনে ‘ব্লু-প্লাকিং’ করে বলে দেওয়া হবে তার ঐতিহাসিক তাৎপর্য। নবান্নের এক মুখপাত্রের কথায়, ‘‘ভগিনী নিবেদিতার প্রতি এ দেশের মানুষের আবেগের কথা মাথায় রেখেই ওই অনুষ্ঠানে যাবেন তিনি। ২৮ অক্টোবর নিবেদিতার জন্মদিনেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা ছিল তাঁর। কিন্তু কলকাতায় বিশ্বকাপের আসর বসায় তা সম্ভব ছিল না। নভেম্বরে অনুষ্ঠান পিছিয়ে যাওয়ায় খুশি মুখ্যমন্ত্রী। তাতে যোগও দেবেন তিনি।’’