কোনওক্রমে মাথাটা উঁচু করে রেখেছেন ড্যানিয়েল।
একেই কি বলে মৃত্যুর চোখে চোখ রেখে ফিরে আসা?
অতি কষ্টে নাকটা উঁচু করে রেখেছেন। মুখ থেকে দেহের বাকিটা কাদাজলের নীচে। আর দেহের উপরে চাপা পড়ে রয়েছে প্রায় ৩০০০ কিলোগ্রামের আস্ত একটি মেশিন। এ ভাবেই মৃত্যুর সঙ্গে টানা ৫ ঘণ্টা লড়াই করে বাঁচলেন অস্ট্রেলিয়ার ড্যানিয়েল মিলার। শেষে তাঁর গোঙানির শব্দ শুনে উদ্ধার করা হয় তাঁকে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে।
ড্যানিয়েল খননের কাজ করছিলেন। খননকারী গাড়ির মধ্যে ছিলেন তিনি। সে সময়েই পাড় ভেঙে গাড়ি সমেত পাশের ডোবায় পড়ে যান। ভারী গাড়িটির নীচে চাপা পড়ে যান ড্যানিয়েল। গাড়ির চাপে একটু একটু করে আঠালো কাদার মধ্যে ডুবে যেতে থাকেন। কোনওক্রমে নাকটা কাদাজলের উপরে তুলে রেখেছিলেন তিনি। এই দুর্ঘটনার সময় তাঁর আশপাশে কেউই ছিলেন না। মুখ কাদাজলের নীচে থাকায় সাহায্যের জন্য চিৎকার করতেও পারছিলেন না। শেষে তাঁর গোঙানির শব্দ শুনে ছুটে আসেন এক ব্যক্তি। ড্যানিয়েলকে এই অবস্থায় দেখার পরই পুলিশে খবর দেন তিনি। প্রায় ৫ ঘণ্টার চেষ্টায় তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
চলছে উদ্ধারকাজ।
পুলিশ সূত্রে খবর, জখম ড্যানিয়েলকে এর পরই তড়িঘড়ি হেলিকপ্টারে স্থানীয় একটি হাসপাতালে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। আর কী বলছেন ড্যানিয়েল নিজে? তাঁর কথায়: ‘‘মনে হচ্ছিল আর বাঁচব না, আঠালো কাদা গ্রাস করছিল আমাকে। কোনওক্রমে নাকটা উঁচু করে রেখেছিলাম। বার বারই স্ত্রী আর সন্তানদের কথা মনে পড়ছিল।’’
আরও পড়ুন: ‘ছ’বছর আগে ভ্যালেন্টাইস ডে-র দিনই আমাকে প্রোপোজ করেছিল সে’