আলেকজান্ডার। ছবি: টুইটার।
দূরত্ব কি কখনও প্রেমে বাধা হতে পারে? তা হয়তো হয় না। কিন্তু প্রেমিকাই যদি বেঁকে বসেন, তা হলে ‘ভালবাসা’-র আর দোষ কী! তবে প্রেমিক হলে বাপু এমনটাই হওয়া উচিত। শুধুমাত্র প্রেমিকাকে এক ঝলক দেখার জন্য নাছোড়বান্দা প্রেমিক টানা ১০ দিন বিমানবন্দরেই কাটিয়ে দিলেন! এই প্রেমের পরিণতি অবশ্য খুব একটা সুখের নয়। আপাতত বিধ্বস্ত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নেদারল্যান্ডসবাসী ওই প্রেমিক আলেকজান্ডার পিটার। আর পুরো ঘটনাকেই নেহাতই পাগলামি বলেই ‘খালাস’ প্রেমিকা ঝ্যাং!
মাসখানেক আগে এক অনলাইন চ্যাট-এ চিনের বাসিন্দা ঝ্যাং-য়ের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল পিটারের। অল্প দিনের মধ্যেই অনলাইনের সেই বন্ধুত্ব ক্রমশ গাঢ় হতে থাকে। এক সময়ে বন্ধুত্বের গণ্ডি পেরিয়ে তা প্রণয়ে পরিণত হয়। অনলাইনেই নিজের ভালবাসা ঝ্যাং-এর কাছে জাহির করেছিল আলেকজান্ডার। চিনের সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, ঝ্যাং সেই প্রস্তাব মেনেও নেন। কয়েক দিন এ ভাবেই চলছিল। তার পর এক দিন তিনি ঠিক করেন ঝ্যাংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন। বিমানের টিকিট কেটে ছবি তুলে অনলাইনেই তা ঝ্যাংকে দেখান তিনি। কবে, কোন সময় তাঁর বিমান চিনের ছাংসা বিমানবন্দরে পৌঁছবে তাও জানিয়ে দেন। আর তার পরে বুক ভরা ভালবাসা আর অনেক আশা নিয়ে পাড়ি দেন চিনে।
আরও পড়ুন: ফেসিয়াল করা বার করছি, স্ত্রীর মুখে অ্যাসিড
চিনের সংবাদমাধ্যমের কাছে এই খবর পৌঁছতে খুব একটা সময় লাগেনি। সংবাদমাধ্যমে আলেকজান্ডারের বক্তব্য প্রকাশিত হয়। খোঁজ পাওয়া যায় প্রেমিকারও। সংবাদমাধ্যমকে প্রেমিকা জানান, বিষয়টি তিনি খুব হাল্কা ভাবেই নিয়েছিলেন। ভেবেছিলেন পুরোটাই একটা জোক। আলেকজান্ডার যে সত্যিই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে উড়ে আসবেন তা তিনি বুঝতে পারেননি। তবে কি তিনি এবার তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন? ঝ্যাংয়ের সোজা সাপটা জবাব, না। কারণ, সবটাই তাঁর কাছে ভীষণ বাড়াবাড়ি।
এই ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়াতেও তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেউ যেমন এটাকে ‘অমর প্রেম’ বলে মনে করছেন। কারও চোখে আগাগোড়া নেহাতই পাগলামি বৈকি কিছু নয়। তো কেউ আবার ঝ্যাংকে আক্রমণ করে লিখেছেন, চিনা জিনিসের উপর কখনই ভরসা করা যায় না।
এ দিকে ব্যর্থ হৃদয় নিয়ে আগামী সপ্তাহেই নেদারল্যান্ডস রওনা দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করছেন আলেকজান্ডার।