প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়ে স্লোভাকিয়ার ইতিহাসে প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হলেন জুজানা কাপুতোভা।
শনিবারের নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থী শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক ও ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারোস সেফকোভিচকে পরাজিত করলেন জুজানা।
৪৫ বছর বয়সী কাপুতোভার তেমন কোনও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই। আইনজীবী হিসেবেই তিনি বেশি পরিচিত।
তিনি নির্বাচনী প্রচারকে ভাল ও মন্দের দ্বন্দ্ব হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। চেকোস্লোভাকিয়া ভেঙে স্লোভাকিয়া প্রথম স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে ১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি। তার পর দেশ এই প্রথমবার মহিলা প্রেসিডেন্ট পেল।
গত বছর একজন সাংবাদিকের খুনের ঘটনা এই নির্বাচনে প্রভাব ফেলেছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সাংবাদিক জে কুচিয়াক পরিকল্পিত অপরাধের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নিয়ে অনুসন্ধান করছিলেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে হবু স্ত্রীর সামনেই তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনাকে প্রচারের হাতিয়ার করেন জুজানা।
জুজানা পেয়েছেন ৫৮ শতাংশ ভোট, সেফকোভিচ পেয়েছেন ৪২ শতাংশ ভোট।
১৪ বছর একটানা বেআইনি জমি ভরাটের একটি মামলা নিয়ে লড়েছেন জুজানা। সেই সময় আইনজীবী হিসাবে প্রচারের শিরোনামে এসেছিলেন তিনি।
৪৫ বছরের জুজানা বিবাহবিচ্ছিন্না, তাঁর দুই সন্তান রয়েছে। সমলিঙ্গ বিবাহে সম্মতির কোনও আইন এখনও পর্যন্ত নেই স্লোভাকিয়ায়। উদারপন্থী জুজানা এলজিবিটি অধিকার নিয়ে লড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সমকামীদের অধিকার এবং গর্ভপাতের উপরে স্লোভাকিয়ার নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছিলেন তিনি।
লিবারাল প্রোগ্রেসিভ স্লোভাকিয়া পার্টির একজন সদস্যা জুজানা। উল্লেখযোগ্য হল, স্লোভাকিয়ার পার্লামেন্টে এর আগে এই দলটির কোনও আসন ছিল না।