আর কয়েক মাসের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইজরায়েল সফরে যাচ্ছেন। তার আগে ভারত-ইজরায়েল সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে সম্প্রতি আলোচনা হল কলকাতায়। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব এশিয়ান স্টাডিজ এবং ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ –এর আয়োজিত ওই সভায় যোগ দেন নয়াদিল্লির ইজরায়েল দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলার দিৎজা ফ্রোইম। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর সফরের দিকে দু’দেশই তাকিয়ে রয়েছে। নিরাপত্তা থেকে খাদ্য নিরাপত্তা, জল থেকে মহাকাশ, উন্নয়ন থেকে স্টার্ট আপ সবেতেই দু’দেশের নিবিড় যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। ইজরায়েল মেক ইন ইন্ডিয়া এবং মেক উইথ ইন্ডিয়া— এই দুই তত্ত্ব নিয়েই এগোচ্ছে।’’
ফ্রোইম জানান, প্রতিরক্ষা থেকে মহাকাশ গবেষণা সব ক্ষেত্রেই ইজরায়েল প্রযুক্তি সহায়তা দিতেও তৈরি। ক্ষেপণাস্ত্র গবেষক দেবলীনা ঘোষালের মতে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তি সহায়তা এবং একসঙ্গে সমরাস্ত্র তৈরির কাজ দু’টোই হচ্ছে। অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল সিস্টেম তৈরির ক্ষেত্রে ইজরায়েল যেমন ভারতকে প্রযুক্তি দিয়েছে, তেমনই বারাক-আট ক্ষেপণাস্ত্র দুই দেশ মিলে তৈরি করছে। তবে এখন ইজরায়েল যে ভাবে চিনকে অস্ত্র বিক্রি করছে, সেটা চিন্তার। ভারতের আশঙ্কা, চিনের হাত ঘুরে সেই অস্ত্র পাকিস্তানে চলে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সফরে সেই উদ্বেগের কথা উঠবে বলেই মনে করেন ওই ক্ষেপণাস্ত্র গবেষক।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা ইজরায়েল বিশেষজ্ঞ পি আর কুমারস্বামী মনে করেন, মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আরব দুনিয়ার সব দেশের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক যোগাযোগ হয়েছে। বাকি ইজরায়েল। তাই শুধুমাত্র সেখানে প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন বলে বিতর্কের কিছু নেই।