গ্রিসে গিয়ে নাৎসি হামলার দায় স্বীকার ম্যার্কেলের

দু’দেশের মধ্যে দূরত্ব আর দ্বন্দ্ব ছিল বহু বছর ধরে। এ বার সুসম্পর্কের রাস্তা খোলার দিকে হাঁটলেন জার্মানির বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। জানালেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর আক্রমণের দায় একান্ত ভাবেই তাঁর দেশের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আথেনস শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৪৮
Share:

আলাপ: স্কুল ছাত্রদের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। আথেনসে শুক্রবার। এপি

দু’দেশের মধ্যে দূরত্ব আর দ্বন্দ্ব ছিল বহু বছর ধরে। এ বার সুসম্পর্কের রাস্তা খোলার দিকে হাঁটলেন জার্মানির বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। জানালেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর আক্রমণের দায় একান্ত ভাবেই তাঁর দেশের। দু’দিনের সফরে গ্রিসে এসেছেন ম্যার্কেল। গত কালই তিনি আথেনস পৌঁছন। আর প্রথমে গ্রিক প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সাইপ্রাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। আলোচনা সেরেছেন গ্রিক প্রেসিডেন্ট প্রোকোপিস পাভলোপুলাসের সঙ্গেও।

Advertisement

যুদ্ধকালীন ক্ষতিপূরণ নিয়ে গ্রিস আর জার্মানির মধ্যে দীর্ঘদিন মন কষাকষি চলেছে। ইউরোপীয় দেশগুলির হস্তক্ষেপে ১৯৬০ সালেই একটি চুক্তির মাধ্যমে বিষয়টির মীমাংসা হয়েছিল বলে এত দিন দাবি করে এসেছে জার্মানি। কিন্তু গ্রিসের সরকার কোনও দিনই সেই ক্ষতিপূরণে সন্তুষ্ট ছিল না। জার্মানির সঙ্গে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত সে সময় থেকেই।

ম্যার্কেলের উপর বিদ্বেষ আরও বাড়ে ব্যয় সঙ্কোচের সময়ে। কয়েক বছর আগে দেশজুড়ে চলা চরম আর্থিক দুর্দশার সময় ব্যয় সঙ্কোচের রাস্তায় হাঁটতে বাধ্য হয় গ্রিস সরকার। তার দায়ও দেশের সাধারণ মানুষ ম্যার্কেলের আর্থিক নীতির উপরেই চাপিয়েছিলেন। ২০১২ আর ’১৪ সালে ম্যার্কেলের গ্রিস সফরের দু’বারই গ্রিসে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। হাজার হাজার মানুষ আথেনসের রাস্তায় নেমেছিলেন বিক্ষোভ দেখাতে। এ বার যাতে সেই পরিস্থিতি না হয়, তার জন্য সতর্ক ছিল দেশের পুলিশ। শুধু ম্যার্কেলের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতেই মোতায়েন করা হয়েছে ২০০০ পুলিশ। আথেনসের প্রাণকেন্দ্রে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কাল ম্যার্কেলের সফরের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন আথেনসের মানুষ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন