মিলল কি ধ্বংসাবশেষ, পরীক্ষা হবে ফ্রান্সে

প্রায় দেড় বছর কোনও হদিস নেই। মালয়েশীয় বিমান এমএইচ ৩৭০-র যাত্রীদের আত্মীয়েরা আশা এক রকম ছেড়েই দিয়েছিলেন। তবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক আজ জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরের রিইউনিয়ন দ্বীপে গত কাল পাওয়া গিয়েছে একটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৫ ০৩:০০
Share:

এখান থেকেই পাওয়া গিয়েছে একটি বিমানের দু’মিটার লম্বা ধ্বংসাবশেষ। ছবি: রয়টার্স।

প্রায় দেড় বছর কোনও হদিস নেই। মালয়েশীয় বিমান এমএইচ ৩৭০-র যাত্রীদের আত্মীয়েরা আশা এক রকম ছেড়েই দিয়েছিলেন। তবে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক আজ জানিয়েছেন, ভারত মহাসাগরের রিইউনিয়ন দ্বীপে গত কাল পাওয়া গিয়েছে একটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ। মনে করা হচ্ছে, তা এমএইচ ৩৭০-রই অংশ। তবে, নিশ্চিত হওয়ার জন্য এখন তা ফ্রান্সের পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন রাজাক।

Advertisement

মাদাগাস্কারের দক্ষিণে ভারত মহাসাগরে রিউনিয়ন দ্বীপ। সেখান থেকেই পাওয়া গিয়েছে একটি বিমানের দু’মিটার লম্বা ধ্বংসাবশেষ। অনুমান, সেটিই এমএইচ ৩৭০-র ফ্ল্যাপেরন। ফ্ল্যাপেরন আসলে বিমানের ডানার একটি অংশ, যা বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। রাজাকের যুক্তি, আর কোনও বিমান এ ভাবে সমুদ্রে নিখোঁজ হয়নি। তাই এ অংশটি এমএইচ ৩৭০-রই হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।

তবে মালয়েশীয় পরিবহণ দফতরের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘যতক্ষণ না পর্যন্ত অকাট্য প্রমাণ মিলবে, ততক্ষণ নিশ্চিত কিছু বলা যাবে না।’’ বিমানের অংশটি পরীক্ষার জন্য দক্ষিণ ফ্রান্সের তুলুস শহরে নিয়ে যাওয়া হবে। দু’-এক দিনের মধ্যেই মিলবে পরীক্ষার ফল। মালয়েশিয়া থেকে ১০ জন বিশেষজ্ঞের একটি দল রিউনিয়ন দ্বীপে পৌঁছে গিয়েছে। অন্য একটি দল তুলুসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

Advertisement

গত বছর ৮ মার্চ কুয়ালা লামপুর থেকে ২৩৯ জনকে নিয়ে বেজিংয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এমএইচ ৩৭০। কিন্তু এক ঘণ্টা পরেই তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রেডার যন্ত্রের স্ক্রিন থেকে আগেই উবে গিয়েছিল বিমানটি। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তার পাঠানো শেষ কিছু সিগন্যাল ধরা পড়েছিল স্যাটেলাইটে। সেই সিগন্যালের ভরসাতেই তাঁদের অনুমান, ভারত মহাসাগরের ওই অঞ্চলেই হতে পারে রহস্যের কিনারা।

অস্ট্রিলিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ওয়ারেন ট্রুস জানিয়েছেন, বিমানের ওই অংশটির উপর ‘বিবি৬৭০’ বলে একটি নম্বর লেখা রয়েছে। রহস্য উন্মোচনে এই নম্বরটি বিশেষ সাহায্য করতে পারে বলে তাঁর মত।

ওই বিমানের এক কর্মীর স্ত্রী জাকুইতা গনজালেস বলেছেন, ‘‘আমার মন বলছে, ওটা যেন এমএইচ ৩৭০-রই ধ্বংসাবশেষ হয়। আমি আমার স্বামীর শেষকৃত্য ঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে পারি। আবার অন্য দিকে মন বারবার বলছে, না না না ওটা যেন কখনওই সেই বিমানটির অংশ না হয়। কারণ এখনও আশা আছে ...।’’

সেই আশা নিরাশার টানাপড়েনের মধ্যেই এখন তাকিয়ে আছে সবাই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement