militants

মায়ানমারে সেনার বিরুদ্ধে জঙ্গি-জোট

গত শনিবার সেনার গুলিতে এক দিনে শতাধিক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছিল মায়ানমারে। ওই দিন থেকে সেনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু করেছে প্রত্যন্ত এলাকার জনজাতি জঙ্গিরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইয়াঙ্গন শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২১ ০৬:৩৪
Share:

সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে স্কুটার-মিছিলে সাধারণ মানুষ। বুধবার মায়ানমারের লাংলন শহরে। রয়টার্স

গত দু’মাসে সেনা-বিরোধী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে কমপক্ষে ৫০০ বিক্ষোভকারীর। এই পরিস্থিতিতে মায়ানমারে জুন্টার বিরুদ্ধে একজোট হতে শুরু করেছে সশস্ত্র জনজাতি গোষ্ঠীগুলি। গত শনিবার সেনার গুলিতে এক দিনে শতাধিক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছিল মায়ানমারে। ওই দিন থেকে সেনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শুরু করেছে প্রত্যন্ত এলাকার জনজাতি জঙ্গিরা। আজ ভোরের দিকে উত্তর মায়ানমারে কাচিন গেরিলা বাহিনী পুলিশের একটি পোস্ট দখল করে নেয়। বাহিনী জানিয়েছে, তারা বিক্ষোভকারীদের পক্ষে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারেন গেরিলা বাহিনী। গত শনিবার এই জনজাতি জঙ্গি গোষ্ঠীই প্রথম সেনার উপরে হামলা চালিয়েছিল। তার জবাবে প্রত্যন্ত জনজাতি অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে আকাশপথে হামলা চালাচ্ছে সেনা। ইতিমধ্যেই ১০ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছে। মায়ানমার পার্লামেন্টের নির্বাসিত সদস্যেরা সেনা-বিরোধী যে গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই গড়ছেন, আপাতত সেই সিআরপিএইচ গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন ডক্টর সাসা নামে এনএলডি-র এক নেতা। তিনি আজ স্পষ্ট জানিয়েছেন, সেনার অত্যাচার রুখতে জনজাতি জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির সাহায্য নিতে তাঁরা প্রস্তুত। জনজাতি ও নাগরিক গোষ্ঠী একত্র হয়ে একটি ‘ফেডারেল আর্মড ফোর্স’ গঠনের চিন্তা-ভাবনা চলছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এই পরিস্থিতিতে চাপ বাড়ছে তাইল্যান্ড সীমান্তে। মায়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা তাই প্রদেশের গভর্নর আজ জানিয়েছেন, যে সব বাসিন্দা সীমান্ত পেরিয়ে তাঁদের দেশে ঢুকেছিলেন, তাঁরা স্বেচ্ছায় ফিরে গিয়েছেন। যদিও মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, তাই সেনা জোর করে তাঁদের ফেরত পাঠিয়েছে। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুত চান-ওচা। এ দিকে, মায়ানমারে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত নন এমন আমেরিকান কূটনীতিকদের অবিলম্বে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন