বাড়বে বেতন, উঠবে কর, আশ্বাস মাকরঁর

নিম্নবিত্তদের প্রতি নজর নেই প্রেসিডেন্টের। জ্বালানির দরবৃদ্ধি নিয়ে শুরু হওয়া ‘ইয়েলো ভেস্ট প্রতিবাদ’ থেকে বার বার উঠেছে এই অভিযোগ। তাই এত দিন নীরবতার পর মুখ খুলে প্রথমেই ‘দরিদ্রবান্ধব’ ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করলেন মাকরঁ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা  

প্যারিস শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৩
Share:

‘দরিদ্রবান্ধব’ ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করলেন ইমানুয়েল মাকরঁ।

কম রোজগেরে শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি আর বয়স্কদের করে ছাড়। সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় এই দুই প্রতিশ্রুতিতে মন জয়ের চেষ্টা করলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ।

Advertisement

নিম্নবিত্তদের প্রতি নজর নেই প্রেসিডেন্টের। জ্বালানির দরবৃদ্ধি নিয়ে শুরু হওয়া ‘ইয়েলো ভেস্ট প্রতিবাদ’ থেকে বার বার উঠেছে এই অভিযোগ। তাই এত দিন নীরবতার পর মুখ খুলে প্রথমেই ‘দরিদ্রবান্ধব’ ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করলেন মাকরঁ। জানালেন, পেনশনভোগীদের উপর প্রস্তাবিত কর বাতিল করা হবে। ওভারটাইমের জন্য শ্রমিকরা যে অতিরিক্ত পারিশ্রমিক পান তার উপর থেকেও কর তুলে নেওয়া হবে। নিয়োগকারীরা বছর শেষে কর ছাড় দিয়ে বোনাস দেবেন কর্মীদের। তবে করে ছাড় পাবেন না বিত্তশালীরা। মাকরঁর কথায়, ‘‘এতে অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়বে। জীবিকার সুযোগ তৈরি হবে না।’’

জ্বালানির লাগামছাড়া দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে সপ্তাহ তিনেক আগে পথে নেমেছিল ফ্রান্স। বিশেষত ডিজেলের উপর কর বসানোর সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয় ক্ষোভ। প্রথমে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ পথে এগোলেও ধীরে ধীরে ‘ইয়েলো ভেস্ট’ প্রতিবাদ বিধ্বংসী আকার নেয় গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে। গত কাল এই তাণ্ডবের নিন্দা করলেও মাকরঁ বলেন, ‘‘বিক্ষোভকারীদের রাগ অনেক গভীরে এবং অনেক ক্ষেত্রে তা ন্যায্যও।’’ সেই ক্ষোভ মেটাতেই তাঁর শ্রমমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের মধ্যে স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের মাসিক বেতন কমপক্ষে ১০০ ইউরো বাড়ানো হবে। নিয়োগকারী নয়, এই অতিরিক্ত খরচ বহন করবে সরকার। প্রতি মাসে ২ হাজার ইউরোর কম আয়ের পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষা খাতে কর বাড়ানো হবে না।

Advertisement

সম্প্রতি মাকরঁর এক টুইট ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। যেখানে প্রেসিডেন্ট লিখেছিলেন, ‘‘সামাজিক সুরক্ষা খাতে পাগলের মতো টাকা খরচ করে ফ্রান্স। তার পরেও দরিদ্ররা দরিদ্রই থেকে যাচ্ছেন।’’ ‘ধনীদের প্রেসিডেন্ট’ অভিযোগে বিদ্ধ মাকরঁর অস্বস্তি এতে আরও বাড়ে। আজ খানিক ‘ভুল’ স্বীকারের ভঙ্গিতে তিনি বলেছেন, ‘‘আমার কথায় অনেকে আঘাত পেয়েছেন। আপনাদের হয়তো মনে হচ্ছে, আমার তাতে কিছু আসে যায় না। এ নিয়ে সন্দেহ নেই যে, গত সাড়ে চার বছরে আমি আপনাদের অভিযোগের কোনও যুতসই জবাব দিতে পারিনি। আমি সেই দায় স্বীকার করছি।’’ বিরোধীদের বক্তব্য, চাপের মুখে ব্যর্থতার কথা মানলেও, নিজের ত্রুটির মাত্র অর্ধেক স্বীকার করেছেন মাকরঁ। বাকিটুকুর উল্লেখও করেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন