উয়াহানে মোদী ও চিনফিং। ছবি: ফাইল চিত্র।
প্রোটোকলের চাপাচাপি নেই। নেই রুদ্ধদ্বার বৈঠকের ভাবগম্ভীর পরিবেশ। তার বদলে উয়াহানের বিখ্যাত হ্রদের ধার ঘেঁষে শনিবার সকালে হাঁটতে দেখা গেল নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংকে।
একবার তো নৌকো নিয়ে তাঁরা ভেসে পড়লেন হৃদের টলটলে জলে। কোথায় গেল ডোকলামের সংঘাত? কে বলবে, একাধিক ইস্যুতে ইসলামাবাদের পাশে দাঁড়ানোয় বেজিং এখন দিল্লির মাথা ব্যথার কারণ।
মোদীর চিন সফরে সরকারি বৈঠক না থাকলেও, দুই নেতা কিন্তু ঘরোয়া বৈঠকে বসছেন দফায়-দফায়। একবার নয়, দু’বার নয়, ২৪ ঘণ্টায় মোট ছ’বার! কখনও চায়ের কাপ হাতে। কখনও নিরিবিলিতে বসে।
চিনের সংবাদ মাধ্যমের কথায়, ‘‘এ ধরনের বৈঠকে কোনও চাপ থাকে না। প্রত্যাশা থাকে না। ফলে অ্যাজেন্ডার বাইরে আলোচনায় গিয়েও বাড়তি ফল পাওয়া যায়।’’ যেমন আজকের বৈঠকে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে যৌথ আর্থিক প্রকল্প গড়তে রাজি হয়েছেন মোদী এবং চিনফিং। জানা গিয়েছে, এ নিয়ে দুই দেশের আধিকারিকরা বৈঠকে বসবেন। কোন-কোন ক্ষেত্রে কাজ হবে, তা পরে চিহ্নিত করা হবে। কিন্তু এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে কি ইসলামাবাদ ঘেঁষা বিদেশনীতি থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে বেজিং? এই প্রশ্নে পাক প্রশাসনের হৃদকম্প বাড়ার যথেষ্টই কারণ রয়েছে বলে ধারনা বিশেষজ্ঞ মহলের।
জানা গিয়েছে, কোনও রকমের সমঝোতা কিংবা ঘোষণা না হলেও শি জিনপিং-এর সঙ্গে কৌশলগত সামরিক সম্পর্ক, পর্যটন কিংবা বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশই চিন এবং ভারতের। তাই বিশ্বের প্রধান সমস্যাগুলো মেটাতে হলে দুই দেশকে উদ্যোগী হতে হবে।’’ চিনফিং বলেন, ‘‘বিশ্বের শান্তি ও সুস্থিতির স্বার্থেই ভারত ও চিনের সম্পর্কে উন্নতি হওয়া দরকার।’’
কিন্তু তা সত্বেও প্রশ্ন, ডোকলাম কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না তো? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়ত এখনই সম্ভব নয়। তবে জানা গিয়েছে, সীমান্তের উত্তেজনা কমানোর ব্যাপারে মোদীর সঙ্গে সহমত হয়েছেন শি চিনফিং।