ধসে চাপা পড়ে চিনে নিখোঁজ শতাধিক

চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সিচুয়ানের শিনমো নামে গ্রামটির চারদিকে পাহাড়। গত কয়েক দিন ধরেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল ওই এলাকায়। আজ ভোর ছ’টা নাগাদ যখন ধস নামে, গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দাই তখন ঘুমিয়ে ছিলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৭ ০৩:৩৬
Share:

চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: রয়টার্স।

পাহাড় ঘেরা গ্রামে ধস নেমেছিল ভোরে। কাদা-মাটি আর পাথরের তলায় চাপা পড়েছে ৪৬টি বাড়ি। নিখোঁজ একশো চল্লিশেরও বেশি মানুষ। এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের সিচুয়ান প্রদেশের ঘটনা।

Advertisement

চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সিচুয়ানের শিনমো নামে গ্রামটির চারদিকে পাহাড়। গত কয়েক দিন ধরেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল ওই এলাকায়। আজ ভোর ছ’টা নাগাদ যখন ধস নামে, গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দাই তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। উঁচু পাহাড়ি এলাকা থেকে বড় বড় পাথর এসে পড়ায় মুহূর্তে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ৪৬টি বাড়ি। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, ওই সব বাড়ির তলায় চাপা পড়ে রয়েছেন একশো চল্লিশ জনের মতো বাসিন্দা। ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে এক দম্পতি ও তাঁদের শিশু সন্তানকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

এখন ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে প্রাণের খোঁজ করছেন প্রায় ৫০০ উদ্ধারকর্মী। তাঁদের সঙ্গে রয়েছে পুলিশের কুকুরও। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বড় বড় পাথর সরাতে দড়ি বেঁধে কাজ করছেন প্রচুর উদ্ধারকর্মী। চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হচ্ছে সেই সব ছবি। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তার মধ্যেই আগামী কয়েক দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এক পুলিশ কর্তা বলেই ফেললেন, ‘‘ধ্বংসস্তূপ থেকে প্রাণের খোঁজ মেলা এখন কার্যত অসম্ভব।’’ শিনমোয় গাছ কম। চাষাবাদও কম। তাই এই সব এলাকায় ধসের প্রবণতা বেশি থাকে বলে জানালেন ওই পুলিশ কর্তা।

Advertisement

তবে চিনের পাহাড় ঘেরা প্রত্যন্ত গ্রামগুলোয় এই ধরনের ধস প্রায়ই নামে। বিশেষত বর্ষায়। ২০০৮ সালে এই সিচুয়ানেই ধস নেমে প্রায় আশি হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তার পর এত বড় ধস আর নামেনি এই প্রদেশে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে হুবেই প্রদেশে ধসে বারো জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০১৫ সালে শেনজেনে ধসে মারা গিয়েছিলেন ৭০ জন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন