সমুদ্রের দখল নিয়ে চিনের সঙ্গে আমেরিকার সঙ্ঘাত আরও বাড়তে চলেছে। বেজিংয়ের আপত্তি-অসন্তোষকে আদৌ গুরুত্ব না দিয়ে আর কয়েক দিনের মধ্যে আরও মার্কিন রণতরী ঢুকতে চলেছে দক্ষিণ চিন সাগরে। প্রস্তুতি চলছে আরও কয়েকটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার পাঠানোরও।
ইতিমধ্যেই পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যস্ত সমুদ্র অঞ্চল দক্ষিণ চিন সাগরে পাঠানো হয়েছে একটি মার্কিন ডেস্ট্রয়ার। পেন্টাগনে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক পদস্থ কর্তা বলেছেন, ''ওটাই শেষ নয়।আমরা সবে শুরু করেছি।''
পেন্টাগনের ওই কর্তাই জানিয়েছেন, দক্ষিণ চিন সাগরে এত দিন গোপনে গোপনে যে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জটি বানিয়েছিল চিন আর হালে যে দ্বীপপুঞ্জটিকে আরও প্রসারিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং, তার ১২ নটিক্যাল মাইল পরিধির মধ্যে মার্কিন রণতরী 'ইউএসএস-ল্যাসেন'-এর আশপাশে প্রচুর চিনা যুদ্ধজাহাজকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যাচ্ছে। একটি চিনা যুদ্ধজাহাজকে দেখা গিয়েছে মার্কিন রণতরী 'ইউএসএস-ল্যাসেন'-কে আড়াল করে দাঁড়িয়ে থাকতে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের বানানো ওই কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জের কাছে সুবি ও মিসচিফ রিজ এলাকার মাঝামাঝি জায়গায় পৌঁছে যায় মার্কিন রণতরী 'ইউএসএস-ল্যাসেন'। পেন্টাগনে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওই কর্তার ইঙ্গিত, সপ্তাহ দু'য়েকের মধ্যে সুবি ও মিসচিফ রিফ এলাকার মাঝামাঝি মার্কিন রণতরী থেকে আকাশে টহলদারিও চালানো হবে।
কী কী রয়েছে মার্কিন রণতরী 'ইউএসএস-ল্যাসেন'-এ?