ছবি: সংগৃহীত।
বাচ্চাদের সামলাতে পারছেন না। কিন্তু, ‘বেবিসিটার’ রাখারও আর্থিক সঙ্গতি নেই। উপায় না দেখে চাকরি ছাড়তে হয়েছিল।। গত শুক্রবার সেই বাচ্চাদেরই আভেনে ঢুকিয়ে জীবন্ত দগ্ধ করে খুনের অভিযোগ উঠল তাদের মা লেমোরা উইলিয়ামসের বিরুদ্ধে। জর্জিয়ার আটলান্টা শহরের বাসিন্দা লেমোরার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ফুলটন কাউন্টির বাসিন্দা লেমোরা তাঁর স্বামী জামিল পেনের থেকে আলাদা থাকতেন। চার সন্তানের মধ্যে লেমোরার সঙ্গে তাঁর ফ্ল্যাটে ছিল তাঁর তিন ছেলে— তিন বছরের জামিল, বছর দুয়েকের কেয়ান্টে এবং এক বছরের জা’কার্টার। পড়শির বাড়িতে খেলা করছিল ছ’বছরের মেয়ে।
আরও পড়ুন
টিকিটের লাইনে দীর্ঘ অপেক্ষা, এইমসে বাবার কাঁধেই শেষ নাবালিকা
#আমিও শিকার, টুইট এই সোনা জয়ী অলিম্পিয়ানের
১০০ বছর হাত মিলিয়ে চলবে দিল্লি-ওয়াশিংটন: চিনকে বার্তা আমেরিকার
ফুলটন কাউন্টির পুলিশের দাবি, শুক্রবার কেয়ান্টে এবং জা’কার্টারকে আভেনে ঢুকিয়ে তা ‘অন’করে দেন লেমোরা। আভেনেই দগ্ধ হয়ে মারা যায় লেমোরার দুই শিশু। এর পর আভেন থেকে তাদের মৃতদেহ বের করে মেঝেতে রেখে দেন। সে অবস্থাতেই স্বামী জামিলের সঙ্গে ‘ভিডিও চ্যাট’ শুরু করেন তিনি। ভিডিও চ্যাটের সময় মেঝেতে কেয়ান্টে এবং জা’কার্টারের নিথর দেহ দেখে প্রথমে সন্দেহ হয় জামিলের। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন তিনি। পুলিশ এসে ওই দুই শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশের কাছে লেমোরা দাবি করেছেন, এক জন আত্মীয়ের কাছে ওই দুই শিশুকে দেখাশোনার জন্য ছেড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই ওই শিশুরা মারা গিয়েছে। তবে লেমোরায় বয়ানে অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় পুলিশের সন্দেহ হয়। তাঁকে সন্তানদের খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, মানুসিক ভাবে স্থিতাবস্থা ছিল না লেমোরার। ১৯ বছর বয়সে বাবার মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর মানসিক সমস্যা দেখা দেয়।