সকাল থেকে উঠে নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই। মেয়েকে ঘুম থেকে তুলে স্কুলের জন্য তৈরি করা, মেয়ের ব্যাগ গুছানো থেকে শুরু করে টিফিন প্যাক করে দেওয়া, ব্রেকফাস্ট বানানো- একা হাতে সবটাই সামলাতে হয়। কিন্তু হাজার কাজের চাপে যে এত বড় ভুলটা হয়ে যাবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি মা। টনক নড়ল মেয়ের স্কুল থেকে আসা ফোনকলে। বুঝতে পারলেন কী ভুলটাই না করে ফেলেছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ে ওই মহিলার পাঁচ বছরের মেয়ে। প্রতি দিনের মতো সে দিনও সকালে মেয়েকে টিফিন দিয়ে স্কুলে পাঠিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টিফিন পিরিয়ডে মেয়ে খাবারের বাক্স খুলতেই সকলের চক্ষু চড়কগাছ। এ কী কাণ্ড! অতটুকু মেয়ের টিফিন বাক্সে একটি ভদকা-র পাউচ! সঙ্গে সঙ্গে হইচই পড়ে যায় গোটা স্কুলে। ফোন করা হয় শিশুটির মাকে।
আরও পড়ুন: ৩৫ বছর নখই কাটেননি ইনি!
মেয়ের স্কুল থেকে ফোন করে এমন ‘আজব’ অভিযোগ তোলায় রীতিমতো তাজ্জব বনে যান ওই মহিলা। প্রথমে তিনি বুঝতেই পারেননি কী ভাবে এই ভুলটা হল। পরে ঠান্ডা মাথায় ভাবতেই মনে পড়ে যায় তাড়াহুড়োয় সে দিন মেয়েকেই ফ্রিজ থেকে একটি ফ্রুট জুসের পাউচ বের করে নিতে বলেছিলেন তিনি। শিশুটি বুঝতে না পেরে ফ্রিজে থাকা একটি মদের পাউচ নিয়ে নেয়।
তিনি সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। অনিচ্ছাকৃত ভুল বুঝতে পেরে স্কুল কর্তৃপক্ষও তাঁকে মাফ করে দেয়।
এই ঘটনার পর নিজের এই ‘আজব’ ভুলের কথা নিজেই ফেসবুকে শেয়ার করেন ওই মহিলা। পোস্টটির নাম দেন ‘এপিক লাঞ্চবক্স ফেল’। মুহূর্তে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে ওঠে সেই পোস্ট।