Laskar-e-Taiba

২৬/১১ মুম্বই হামলার ‘মূল চক্রী’, লস্করের অন্যতম ‘প্রধান’ আজমের মৃত্যু পাকিস্তানে

স্কর প্রতিষ্ঠার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিলেন আজম। অভিযোগ, ভারতের মুম্বইয়ে জোড়া হামলার সঙ্গে আজমের যোগ ছিল নিরবচ্ছিন্ন। এমনকি, ২০০৮ সালে আমেরিকাতে জঙ্গি হামলার ঘটনার নেপথ্যেও ছিল আজমের ‘মস্তিষ্ক’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৪ ১২:০৪
Share:

২৬/১১ মুম্বই হামলার ‘মূল চক্রী’ ছিলেন আজম। — ফাইল চিত্র।

২০০৮ সালে মুম্বই হামলার ছক কষেছিলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, ২০০৬ সালে মুম্বইয়ের ট্রেনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার অন্যতম মূলচক্রীও ছিলেন তিনি। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার (এলটিই) সেই সদস্য আজম চিমার নাকি মৃত্যু হয়েছে পাকিস্তানে, এমনই খবর গোয়েন্দা সূত্রে।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’ জানাচ্ছে, পাকিস্তানের ফয়সলাবাদেই মৃত্যু হয়েছে আজমের (৭০)। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর, এমনই খবর মিলেছে। গোপনে নাকি তাঁর শেষকৃত্যও সম্পন্ন করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে ‘ইন্ডিয়া টুডে’। ফয়সলাবাদের মালখানাওয়ালাতেই বছর কয়েক গা ঢাকা দিয়েছিলেন আজম। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনও ঘোষণা বা বিবৃতি আসেনি।

লস্কর প্রতিষ্ঠার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে ছিলেন আজম। ভারতের মুম্বইয়ে জোড়া হামলার সঙ্গে আজমের যোগ ছিল নিরবচ্ছিন্ন। এমনকি, ২০০৮ সালে আমেরিকাতে জঙ্গি হামলার ঘটনার নেপথ্যেও ছিল আজমের ‘মস্তিষ্ক’। সেই হামলার ঘটনায় আজমের নাম জড়াতেই তাঁর খোঁজ শুরু করে আমেরিকা। যদিও তাঁর নাগাল পাননি কেউই।

Advertisement

সূত্রের খবর, আজমকে প্রায়ই দেহরক্ষীদের ঘেরাটোপে দেখা যেত। বুলেট প্রুফ গাড়িতে ঘুরে বেড়াতেন তিনি। করাচি, লাহোর-সহ পাকিস্তানের বিভিন্ন জায়গার জঙ্গি সংগঠনের আস্তানায় যেতেন আজম। সেখানে তাঁকে প্রশিক্ষণ দিতেও দেখা যেত। আজম নাকি ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের মানচিত্র সম্পর্কে ধারণা ছিল স্পষ্ট। তাই বিভিন্ন হামলার ঘটনায় ছক কষতে তিনি অগ্রণী ভূমিকা নিতেন। আমেরিকার ‘ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রেজারি’ আজমকে লস্কর অপারেশনের ‘মূল কমান্ডার’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। এমনকি ওসামা-বিন-লাদেনের আল-কায়েদা গোষ্ঠীর সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন আজম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন