— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আবারও বিতর্কের মুখে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার! ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিকল হয়ে গেল বিমানের বাঁ দিকের ইঞ্জিন। বিপদ এড়াতে তড়িঘড়ি আপৎকালীন ‘মে ডে’ কল করলেন পাইলট। গত সপ্তাহে আমেরিকার ওয়াশিংটনে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। পাইলটের তৎপরতায় অল্পের জন্য এড়ানো গিয়েছে বিপদ।
গত ২৫ জুলাই ওয়াশিংটন ডালস বিমানবন্দর থেকে মিউনিখের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল বিমান সংস্থা ‘ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স’-এর একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান। কিন্তু ওড়ার পর পরই বিমানের ইঞ্জিনে গুরুতর যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিকল হয়ে যায় বাঁ দিকের ইঞ্জিন। সে সময় বিমানটি ৫,০০০ ফুট উচ্চতায় ছিল। ফলে মাঝ-আকাশে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়। সঙ্গে সঙ্গে আপৎকালীন ‘মে ডে’ কল দেন পাইলট। বিমানের ভিতরেও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। নিরাপদে জরুরি অবতরণ নিশ্চিত করার জন্য যোগাযোগ করা হয় এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-র সঙ্গেও। শেষমেশ প্রায় ২ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট ধরে ওয়াশিংটনের আকাশে ঘুরপাক খেয়ে জ্বালানি ক্ষয় করার পর ওয়াশিংটন ডালস বিমানবন্দরেই নামানো হয় বিমানটিকে।
তবে পাইলটদের তৎপরতা এবং এটিসি-র নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার ফলেই যে বড়সড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে, তা মানছেন সকলেই। কোনও হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি। যাত্রী ও বিমানকর্মীরা সকলেই অক্ষত রয়েছেন। কিন্তু কী ভাবে আচমকা ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেল, তা নিয়ে ধন্দ কাটছে না। বিমান সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট বিমান কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাটি তদন্ত করে দেখবে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন ভারতের অহমদাবাদে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান ‘এআই১৭১’। সে বারও ওড়ার পর পরই ত্রুটি দেখা দিয়েছিল বিমানের ইঞ্জিনে। ওড়ার এক মিনিটের মধ্যেই গতি হারিয়ে ২৪৩ জন সওয়ারিকে নিয়ে লোকালয়ের মধ্যে আছড়ে পড়েছিল বিমান। ওই ঘটনায় যাত্রী ও স্থানীয়-সহ ২৬০ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার মাসখানেকের মাথায় ফের একই ধাঁচের ঘটনা ঘটল বিশ্বের আর এক প্রান্তে।