সন্দেহজনক প্যাকেট এ বার ডি নিরোকেও 

শুধু ডি নিরো নয়, ডেলাওয়্যারের ডাক অফিসে বৃহস্পতিবারই একটি সন্দেহজনক জিনিস এসেছে প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নামে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, এর আগে ন’জনের কাছে যে সন্দেহজনক প্যাকেট গিয়েছে, তার সঙ্গে মিল রয়েছে বাই়ডেনের নামে পাঠানো জিনিসটির। 

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৩২
Share:

অভিনেতা-পরিচালক রবার্ট ডি নিরো।

সন্দেহজনক প্যাকেটের আতঙ্ক এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আমেরিকায়। আজ ম্যানহাটনে অভিনেতা-পরিচালক রবার্ট ডি নিরোর প্রযোজনা সংস্থার দফতরে এমনই প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে বলে খবর আসে দিনের শুরুতেই। পরে জানা যায়, ওই প্যাকেটের গায়েও ডাক বিভাগের যে ছাপ আর তার ভিতরে যে ধরনের জিনিস মিলেছে, তার সঙ্গে গত কালের পাওয়া প্যাকেটের মিল রয়েছে।

Advertisement

শুধু ডি নিরো নয়, ডেলাওয়্যারের ডাক অফিসে বৃহস্পতিবারই একটি সন্দেহজনক জিনিস এসেছে প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নামে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, এর আগে ন’জনের কাছে যে সন্দেহজনক প্যাকেট গিয়েছে, তার সঙ্গে মিল রয়েছে বাই়ডেনের নামে পাঠানো জিনিসটির।

ডি নিরোর উদ্দেশে পাঠানো প্যাকেট আজ মিলেছে নিউ ইয়র্কের ট্রিবেকা এলাকায় ৩৭৫ গ্রিনউইচ স্ট্রিট ঠিকানার বাড়ির আট তলায়। ওই বাড়িতেই ট্রিবেকা এন্টারপ্রাইজ-এর অফিস। ডি নিরোর ট্রিবেকা প্রোডাকশনস-ও কাজ করে এখানেই। রয়েছে তাঁর সংস্থার নামে একটি রেস্তরাঁও। পুলিশ ওই প্যাকেট পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। ওই প্যাকেটে মিলেছে পাইপ-বোমা। সিক্রেট সার্ভিস-এর মতে, ‘‘প্যাকেটে ছিল বিস্ফোরক পাউডার এবং বোমার অংশ। ডিটোনেটরের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে সেগুলিকে।’’

Advertisement

এ সপ্তাহের গোড়া থেকে যে যে ব্যক্তির উদ্দেশে প্যাকেট পৌঁছেছে, তা থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট— প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা থেকে শুরু করে এঁদের বেশির ভাগই ডেমোক্র্যাট এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমালোচক। ওবামা ছাড়া প্রাক্তন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টন, প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক হোল্ডার, ডেমোক্র্যাট সদস্য ম্যাক্সিন ওয়াটার্স, সিআইএ-র প্রাক্তন অধিকর্তা জন ব্রেন্যান এবং ধনকুবের বিনিয়োগকারী ও ডেমোক্র্যাটদের অনুদান দিয়ে পরিচিত জর্জ সোরোস।

এ দিন যাঁর অফিসে প্যাকেট মিলেছে, সেই ডি নিরোও ট্রাম্পকে পছন্দ করেন না। প্রকাশ্যে তিনি তা জানাতেও দ্বিধা করেন না। মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে প্যাকেট-আতঙ্ক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৈরি করা হচ্ছে কি না, উঠছে সেই প্রশ্নও। ডি নিরোর মুখপাত্র স্ট্যান রোসেনফিল্ড বলেছেন, ‘‘খুব উদ্বেগজনক এবং ভয়ের ব্যাপার। যাঁদের এগুলো পাঠানো হচ্ছে, তাঁদের ক্ষেত্রে একটি বিষয়েই মিল। তা হল রাজনৈতিক মতাদর্শ।’’ একটি সূত্রে দাবি, এই সব প্যাকেটে ফ্লরিডার ডেমোক্র্যাট সদস্য ডেবি ওয়াসারম্যান শুলৎজের ঠিকানা দেওয়া রয়েছে। তবে আদতে তিনিই যে প্যাকেটগুলো পাঠিয়েছেন, এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি।

আজ অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস বলেছেন, ‘‘সন্দেহজনক প্যাকেট পাঠানোর এই প্রবণতার নিন্দা করছি কড়া ভাষায়। এর গভীরে গিয়ে তদন্ত হবে এবং সুবিচার যাতে হয়, সেটাও দেখা হবে।’’ সন্দেহজনক প্যাকেট নিয়ে দেশ জুড়ে হইহই পড়ে গেলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এখনও সরাসরি এখনও কিছু বলতে শোনা যায়নি। আজ টুইটে তিনি ফের আক্রমণ শানিয়েছেন মূল স্রোতের সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে। তাঁর মতে, ‘‘সমাজে যে ক্ষোভ আমরা দেখছি, তার মূল কারণ মূলস্রোতের সংবাদমাধ্যম মিথ্যে ও ভুলভাল রিপোর্ট তুলে ধরে। যাকে আমি বলি ফেক নিউজ। এখন বিষয়টা এত খারাপ ও ঘৃণ্য জায়গায় চলে গিয়েছে যে তা বর্ণনার ঊর্ধ্বে। ওদের শুদ্ধ হওয়া দরকার, দ্রুত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন