ভারতকে ঘিরছে চিনের মুক্তোর মালা (স্ট্রিং অব পার্লস)। তাই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নানা দেশকে পাশে নিয়ে পাল্টা চাপ দিতে চাইছে ভারতও। ভিয়েতনাম সফরে সেই লক্ষ্যেই কয়েক ধাপ এগোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আজ ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী নগুয়েন জুয়ান ফু-র সঙ্গে নিরাপত্তা-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন মোদী। তার পরে দু’দেশের তরফে জানানো হয়েছে, ভিয়েতনাম ও ভারতের মধ্যে নয়া কৌশলগত সম্পর্ক শুরু হল। ভিয়েতনামের সঙ্গে এই ধরনের সম্পর্ক রয়েছে কেবল চিন ও রাশিয়ার। বিষয়টিকে বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখছে দিল্লি। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে ভিয়েতনামকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেবে মোদী সরকার। উপকূলে টহল দেওয়ার দ্রুতগামী নৌকো কিনতে ভারতের সঙ্গে আজ একটি চুক্তি করেছে ভিয়েতনাম। চিনের নাম না করেই যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে ভারত ও ভিয়েতনাম হাত মিলিয়ে চলবে। দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে সমস্যার শান্তিপূর্ণ মীমাংসা প্রয়োজন।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের আগ্রাসী মনোভাবের ফলে ফিলিপিন্স, ভিয়েতনামের সঙ্গে উদ্বিগ্ন ভারতও। দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা হারলেও বেজিং আগ্রাসী মনোভাব ছা়ড়েনি। সূত্রের খবর, সেই কারণেই চিনে জি-২০ রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে ভিয়েতনাম সফরে মোদী। সম্প্রতি মায়ানমারের নয়া সরকারের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এ ভাবেই চিনকে জবাব দেওয়ার রাস্তা নিয়েছে ভারত।