নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কী। —ফাইল চিত্র।
নেপালের সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কী। রবিবারের নেপালের সব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সারেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে।
রবিবার নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দফতরের মুখপাত্র রামবাহাদুর রাওয়াল জানান, পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে আলোচনা এবং সমন্বয় মজবুত করতেই এই বৈঠকটি ডাকা হয়েছিল। বস্তুত, তরুণ প্রজন্মের বিক্ষোভের জেরে গত সেপ্টেম্বরে পতন হয় নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সরকারের। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব নেন নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা।
গত ১২ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দায়িত্ব নেন তিনি। ওই সময়েই কার্কী জানিয়েছিলেন, মানুষকে সেবা করার জন্য দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি এবং তাঁর সহযোগীরা, ক্ষমতায় টিকে থাকা তাঁদের উদ্দেশ্য নয়। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণের সময়ে কার্কী বলেছিলেন, “আমরা এখানে ক্ষমতার স্বাদ নিতে আসিনি। আমরা ছ’মাসের বেশি পদে থাকব না। নতুন পার্লামেন্টকে দায়িত্ব দিয়ে দেব। আপনাদের সমর্থন ছাড়া থাকব না।’’
আগামী বছরের ৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার আগে প্রাদেশিক সরকারগুলির সঙ্গে কার্কীর বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। গতকাল, শনিবারই নেপালি কংগ্রেসের দুই সাধারণ সম্পাদক গগন থাপা এবং বিশ্বপ্রকাশ শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির মতামত জানতে চাইছেন সুশীলা। সেই মতো প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তিনি। কার্কীর দফতর সূত্রে খবর, প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা ওই বৈঠকে নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তুতি, আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা-সহ অন্য বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের আগে কী কী করণীয়, তা নিয়েও বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনা সেরেছেন তিনি।