পণ্য বহনের নয়া করিডর চায় নেপাল, রাজি দিল্লিও

এই সব ঝক্কি-ঝকমারি এড়াতে ভারত-নেপাল সীমান্তে নতুন ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’ চাইছে কাঠমান্ডু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৮ ০৩:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

রেলপথে ভারত থেকে নেপালে পণ্য পরিবহণে বিস্তর সমস্যা হচ্ছে। রেকের অভাবে রক্সৌল-বীরগঞ্জ সীমান্তে পণ্য নিয়ে যেতে কালঘাম ছুটছে রফতানিকারী সংস্থাগুলির। রক্সৌলে পৌঁছে পরে বীরগঞ্জে শুল্ক বিভাগের গেরো টপকে তা নেপালের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যেতেও সমস্যা হচ্ছে বলে সে-দেশের আমদানিকারী সংস্থাগুলি ভারতকে জানিয়েছে।

Advertisement

এই সব ঝক্কি-ঝকমারি এড়াতে ভারত-নেপাল সীমান্তে নতুন ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’ চাইছে কাঠমান্ডু। আপত্তি নেই ভারতেরও। রক্সৌলের পাশাপাশি নরকতিয়াগঞ্জের কাছে নওতানওয়া-য় আরও একটি পণ্য পরিবহণ করিডর খোলার ব্যাপারে একমত হয়েছে দু’‌দেশ। তাতে ভারত থেকে নেপালে পণ্য নিয়ে যাওয়া সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নেপালের প্রয়োজনীয় যাবতীয় পণ্য মূলত কলকাতা ও হলদিয়া বন্দরে নামার পরে সড়ক ও রেলপথে সে-দেশে পৌঁছয়। ইদানীং পণ্যের একাংশ বিশাখাপত্তনম বন্দর দিয়েও নেপাল যাচ্ছে। সড়কপথে পণ্য বীরগঞ্জ ছাড়াও পাঙ্খাবাড়ি ট্রানজিট পয়েন্ট দিয়ে নেপালে যেতে পারে। তবে রেলপথের সব পণ্যই নিয়ে যেতে হয় রক্সৌল সীমান্ত দিয়ে। বন্দর ব্যবহারকারী ও ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত রেক না-থাকায় এবং শুল্ক বিভাগের চক্করে পড়ে রক্সৌল সীমান্তে বেশ কয়েক দিন ধরে পণ্য আটকে থাকছে। বাড়ছে পরিবহণ খরচও। রফতানি বৃদ্ধি ও কলকাতা-হলদিয়া বন্দরের ব্যবসার সুযোগ বাড়াতে গত মাসে নেপালে গিয়েছিল ভারতীয় প্রতিনিধিদল। তাতে ছিলেন বন্দরের চেয়ারম্যান বিনীত কুমারও।

Advertisement

বন্দর-প্রধান জানাচ্ছেন, দু’‌দেশের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তি থাকলেও তাতে নওতানওয়ার কথা নেই। তাই চুক্তির অদলবদল প্রয়োজন। সেখানে শুল্ক পরিষেবারও ব্যবস্থা করতে হবে। ‘‘দু’টি দেশেরই বাণিজ্য বৃদ্ধির কথা ভেবে আমরা ট্রানজিট চুক্তি পরিবর্তনের জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করছি। তা হলে রক্সৌলের উপরে চাপ কমবে। আরও দ্রুত পণ্য যাবে নেপালে,’’ বলেন বিনীত কুমার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন