এয়া।
নামগুলো হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মুখগুলো এখনও জনমানসে জ্বলজ্বল করছে। সৈকতে মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা একরত্তির দেহ বা অ্যাম্বুল্যান্সের রক্তমাখা সেই বাচ্চাটা— ছবিগুলো এখনও টাটকা। সিরিয়ায় শান্তি ফেরাতে বৈঠক হয়েছে, চুক্তি হয়েছে, চেষ্টা হয়েছে সংঘর্ষ বিরতিরও। কিন্তু আতঙ্কের রেশ এতটুকু ফিকে হয়নি। সেখানকার শৈশব যে এখনও বিপর্যস্ত তা ফের স্পষ্ট করে দিল ‘ভাইরাল’ হওয়া আরও এক মুখ!
চিকিৎসাকেন্দ্রে বসে আট বছরের মেয়েটা। কপাল থেকে গড়িয়ে পড়া রক্ত আর চোখের জলে চপচপে মুখ। এলোমেলো চুল। সারা গায়ে ধুলো। তালবিসে প্রদেশের একরত্তি কাঁদতে কাঁদতেই জানাল, তার নাম এয়া। বলল, ‘‘বাড়িতে ছিলাম। হুড়মুড় করে ছাদটা ভেঙে পড়ল।’’ অবিরাম কেঁদে যাচ্ছে খুদে। তার মধ্যেই গায়ের ধুলোবালি-রক্ত সাফ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সেরা। এই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটে। তালবিসে মিডিয়া সেন্টার থেকে ছবিটি প্রথম আপলোড করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই সেন্টারের দাবি, সোমবার বিমান হামলায় ধসে পড়ে এয়াদের বাড়ি। ধ্বংসস্তূপ থেকেই উদ্ধার করা হয় এয়া ও তার পরিজনদের। এয়ার আরও একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছেন সমাজকর্মীরা। সেটা যুদ্ধের আগের ছবি। আঁচড়ানো চুল, পরিপাটি চেহারা। আজকের এয়ার সঙ্গে পুরনো এয়ার দৃশ্যতই অনেক তফাত। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দু’টো ছবি পাশাপাশি পোস্ট করছেন অনেকে। লিখছেন, ‘‘যুদ্ধবিমান ওর চুল এলোমেলো করে দিয়েছে। রক্তে রাঙিয়ে দিয়েছে মুখ!’’