প্লুটো পেরিয়েও চনমনে নিউ হরাইজনস, এল প্রথম বার্তা

নিরবতা ভাঙল নিউ হরাইজনস। সঙ্কেত পাঠিয়ে জানিয়ে দিল সে ‘সুস্থ’ই আছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্লুটোর সাড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে চলে যায় নিউ হরাইজনস। কিন্তু, তার সঙ্গে কোনও বেতার যোগাযোগ ছিল না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৫ ১০:২৭
Share:

প্লুটোর চাঁদ শ্যারনের উপরে পড়া আলোর প্রতিফলনকে ব্যবহার করে এর মধ্যেই সে ছবি তুলে ফেলেছে নিউ হরাইজনস। ছবি: এপি।

নীরবতা ভাঙল নিউ হরাইজনস। সঙ্কেত পাঠিয়ে জানিয়ে দিল সে ‘সুস্থ’ই আছে।

Advertisement

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্লুটোর সাড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার দূর থেকে চলে যায় নিউ হরাইজনস। কিন্তু, তার সঙ্গে কোনও বেতার যোগাযোগ ছিল না। এত ক্ষণ আমেরিকার বাল্টিমোর শহরে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যার গবেষণাগারে জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা গভীর উদ্বেগ নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। দুর্ঘটনার আশঙ্কা তো ছিলই। ঘণ্টায় ৪৫ হাজার কিলোমিটার বেগে ধাবমান নিউ হরাইজনস-এর সঙ্গে চালের দানার মতো কোনও বস্তুর সংঘর্ষ হলেও ভেঙে চুরমার হয়ে যেত যানটি। তেমন আশঙ্কা থেকেই নিউ হরাইজনস-এর গতিপথ গণনা হয়েছিল খুব সতর্কতার সঙ্গে, যাতে সংঘর্ষের আশঙ্কা দাঁড়ায় ১০ হাজারের এক ভাগ।

সেই হিসেব মিলেই গেল। বুধবার ভোরে কাঙ্খিত বেতারে সঙ্কেত পৌঁছল গবেষণাগারে। এখন নিউ হরাইজনস-এর তোলা প্লুটোর ছবি-সহ নানা তথ্য ধীরে ধীরে এসে পৌঁছতে শুরু করেছে। বেতার যোগাযোগেও (যার বেগ সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার) প্লুটো থেকে পৃথিবীতে সঙ্কেত পৌঁছতে লাগে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা এবং তথ্যের পরিমাণও বিপুল। আশা করা যাচ্ছে বিশ্লেষণের পরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্লুটোর সবচেয়ে কাছ থেকে তোলা রঙিন ছবির দেখা মিলবে। মিলবে প্লুটোর সূর্যের উল্টো দিকে থাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশের ছবি। প্লুটোর চাঁদ শ্যারনের উপরে পড়া আলোর প্রতিফলনকে ব্যবহার করে এর মধ্যেই সে ছবি তুলে ফেলেছে নিউ হরাইজনস।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন