Newzealand Attack

ক্রাইস্টচার্চ কাণ্ডে নিহত পাঁচ ভারতীয়, মৃত্যু বেড়ে ৫০

হাই কমিশন নিহতদের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে। পাঁচ ভারতীয় হলেন, মেহবুব খোকার, রামিজ ভোরা, আসিফ ভোরা, আন্সি আলিভাবা এবং ওজাইর কাদির(২৫)। ওজাইর কাদির হায়দরাবাদের বাসিন্দা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৯ ১৩:২৩
Share:

ক্রাইস্টচার্চে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। ছবি: এএফপি।

ক্রাইস্টচার্চ কাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০। নিহতদের মধ্যে পাঁচ ভারতীয় রয়েছেন বলে নিউজিল্যান্ডে ভারতের হাইকমিশন সূত্রে রবিবার টুইট করে জানানো হয়েছে। এ দিন হাই কমিশন টুইট করে বলে, ‘খুব দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, ক্রাইস্টচার্চে জঙ্গি হামলার ঘটনায় আমরা পাঁচ ভারতীয়কে হারিয়েছি।’ শনিবার নিউজিল্যান্ডে ভারতের হাই কমিশন টুইট করে জানিয়েছিল দুই ভারতীয় বংশোদ্ভূত-সহ যে ৯ জন ভারতীয় নিখোঁজ রয়েছেন তাঁদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল এ বিষয়ে।

Advertisement

হাই কমিশন নিহতদের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে। পাঁচ ভারতীয় হলেন, মেহবুব খোকার, রামিজ ভোরা, আসিফ ভোরা, আন্সি আলিভাবা এবং ওজাইর কাদির(২৫)। ওজাইর কাদির হায়দরাবাদের বাসিন্দা। পড়াশোনা সূত্রে নিউজিল্যান্ডে গিয়েছিলেন। এভিয়েশন কলেজে পড়াশোনা করছিলেন। কেরলের বাসিন্দা আন্সি আলিভাবা(২৫) লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর ছাত্রী। গুজরাতের ভদোদরার বাসিন্দা রামিজ ভোরা ও আরিফ ভোরা। সম্পর্কে এঁরা বাবা-ছেলে। হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে মৃত্যু হয়। মেহবুব খোকার(৬৩) আমদাবাদের বাসিন্দা। খোঁজখবর এবং সবরকম সহযোগিতার জন্য দুটি হেল্পলাইন নম্বরও শেয়ার করেছে নিউজিল্যান্ডে ভারতের হাই কমিশন। নম্বর দুটি হল— ০২৮০৩৮৯৯/০২১৮৫০০৩৩।

শুক্রবারে ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ব্রেন্টন ট্যারান্ট। সেই ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। আহত হন ৪৮ জন। রবিবার নিউজিল্যান্ডের পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ রবিবার জানান, হামলায় নিহতদের বয়স ২ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। হামলায় আহতদের মধ্যে ৩৬ জনের চিকিত্সা চলছে ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে। এঁদের মধ্যে এক শিশু-সহ তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অকল্যান্ডের স্টারশিপ হাসপাতালে তাঁদের চিকিত্সা চলছে বলে জানান বুশ। অন্য দিকে, নিউজিল্যান্ডের পুলিশপ্রধান এ দিন দাবি করেছেন, দু’টি মসজিদে একাই হামলা চালিয়েছে ব্রেন্টন। শুক্রবার আল নুর মসজিদে প্রথমে হামলা চালায় সে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৪১ জনের। এর পর সেখান থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে লিনউড মসজিদে পৌঁছয় ব্রেন্টন। সেখানে গুলি চালিয়ে আরও ৭ জনকে হত্যা করে। পরে পুলিশ এসে ব্রেন্টনকে গ্রেফতার করে। শনিবারে তাকে আদালতে তোলা হলে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

Advertisement

আরও পডুন: হিজাবে আর্ডের্ন, কড়া অস্ত্র আইনে

আরও পডুন: ‘‘কী করে হয়? ও তো খুব ভাল ছেলে’’, ৪৯ জনকে খুন করেছে বিশ্বাসই হচ্ছে না ঠাকুরমার

আরও পডুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সব গুরুত্বপূর্ণআন্তর্জাতিক খবরজানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন