Brexit

ব্রেক্সিট হচ্ছেই, কোনও সংশয় নেই, নির্বাচনে জিতে বললেন বরিস জনসন

এ দিন সকাল থেকেই ভোটের ফল নিয়ে গোটা ব্রিটেনে ছিল টানটান উত্তেজনা। লেবার ও কনজারভেটিভ দুই শিবিরেই নিজেদের পক্ষে ভোট টানতে পুরো শক্তি নিয়োগ করে দিয়েছিল বৃহস্পতিবারই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:১৪
Share:

বরিস জনসন। ছবি: এএফপি।

ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়ে যাঁরা কনজারভেটিভ পার্টির পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁদের হতাশ করবেন না তিনি। শুক্রবার ভোটে জেতার পরই এমনই বার্তা দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সমর্থকদের উদ্দেশে উল্লসিত ভঙ্গিতে তাঁকে বলতে শোনা গেল, “৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রেক্সিট হচ্ছেই। এতে কোনও দ্বিধা বা সংশয় নেই।”

Advertisement

এ দিন সকাল থেকেই ভোটের ফল নিয়ে গোটা ব্রিটেনে ছিল টানটান উত্তেজনা। লেবার ও কনজারভেটিভ দুই শিবিরেই নিজেদের পক্ষে ভোট টানতে পুরো শক্তি নিয়োগ করে দিয়েছিল বৃহস্পতিবারই। কিন্তু পালের হাওয়া যে কনজারভেটিভ পার্টি কেড়ে নিতে চলেছে, বেলা গড়াতেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ৬৫০ আসনের ৩৬৪টি আসনে জয় ছিনিয়ে নেয় বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি। হাওয়া যে এ বার তাঁদের দিকেই ঘুরছে এমনটা আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন বরিস। তাই চূড়ান্ত ফল ঘোষণার আগেই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ব্রেক্সিটকে সফল করতে একটা জবরদস্ত নির্বাচন হয়েছে।

‘গেট ব্রেক্সিট ডান’—এ বারের নির্বাচনে বরিস জনসনের মূল মন্ত্র ছিল এটাই। আর এই মন্ত্রকেই হাতিয়ার করে লেবার সমর্থকদেরও আস্থা অর্জনকে পাখির চোখ বানিয়েছিলেন তিনি। তাই আঘাতটা করেছিলেন একেবারে লেবার পার্টির গড়ে। আর তাতেই কাজ হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। লেবার সমর্থকদের একটা বড় অংশকে নিজের দিকে টেনে এনেই বাজিমাত করলেন বরিস। শেষ হাসিটাও হাসলেন।

Advertisement

শুধু নির্বাচনে জয়ী হওয়াই নয়, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী লেবার পার্টির জেরেমি করবিনকেও বড়সড় ধাক্কা দিয়েছেন বরিস। দায়িত্ব পাওয়ার পরই বরিস স্থির করেছিলেন হাউস অব কমনস-এ তাঁর দলকে সংখ্যালঘু থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠে পরিণত করবেন। পাশাপাশি সরকারের যে অ্যাজেন্ডা সেটাকেও এগিয়ে নিয়ে যাবেন। নির্বাচনী প্রচারে নেমে নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছিল বরিসকে। অক্টোবরের শেষে ব্রেক্সিট সফল করবেন এই প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করতে না পারায় তাঁর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। কিন্তু সেই জায়গা থেকে যে ভাবে ঘুরে দাঁড়ালেন এবং বিশ্বাস অর্জন করলেন তাতে অনেক দুঁদে রাজনীতিবিদও হতবাক হয়েছেন।

দলীয় সূত্রের খবব, বরিসের নির্বাচনী প্রচারের মূল লক্ষ্য ছিল উত্তর ও মধ্য ইংল্যান্ডের লেবার পার্টির সমর্থনকারী ৪০টি আসনে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করা। সেটা কাজও করে গিয়েছিল। আর এটাই ভোটের ফলের পুরো চিত্রকে বদলে দিয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। জয় নিশ্চিত হওয়ার পর বরিস তাই বলেছেন, “আমরা সেই সব মানুষের আস্থা অর্জন করেছি যাঁরা কোনও দিন কনজারভেটিভকে ভোট দেননি। আমরা জিতেছি।” তবে এই প্রতিদানকে তিনি মনে রাখবেন বলেও জানিয়েছন বরিস। সেই সঙ্গে এই প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন, মানুষ পরিবর্তন চাইছিল। হয়েছে। তাঁদের নিরাশ করবে না কনজারভেটিভ পার্টি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন