কিম জং উন। ফাইল চিত্র।
ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কথা ঘোষণা করল উত্তর কোরিয়া। বুধবার দেশের প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান অ্যাকাডেমিতে উপস্থিত থেকে আগাগোড়া ঘটনাটির সাক্ষী থেকেছেন সে দেশের শাসক কিম জং উন। উত্তর কোরিয়ার দাবি, এটি এক ধরনের ‘ট্যাকটিকাল গাইডেড’ বা কৌশলগত অস্ত্র। তবে বিশদে কিছু জানানো হয়নি। আমেরিকা এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য না করায় মনে করা হচ্ছে, এটি দূর-পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইলের মতো কিছু নয়। বরং অল্প দূরত্বের বিমান-বিধ্বংসীকারী ছোট ক্ষেপণাস্ত্র জাতীয়। পিয়ংইয়্যাং সূত্রের খবর, ২০১৮ সালের শেষ দিকে এই ধরনের প্রথম একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছিল। এটি দ্বিতীয় পরীক্ষা।
সিঙ্গাপুরের পরে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি নিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দ্বিতীয় বার মুখোমুখি বসেছিল উত্তর কোরিয়া ও আমেরিকা। কিন্তু কিম ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওই বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। উত্তর কোরিয়ার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলেননি ট্রাম্প। আর পছন্দসই চুক্তি ছাড়া তারাও যে সম্পূর্ণ ভাবে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করবে না, তা জানিয়ে দেয় উত্তর কোরিয়াও। একইসঙ্গে তারা যে বিষয়টি নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনায় বসতে আগ্রহী— সেই ইঙ্গিত দিয়েছিল দু’পক্ষই। হ্যানয়ের ব্যর্থ বৈঠকের পরে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে তা-ই আমেরিকার বিরুদ্ধে ‘হুমকি’ বলতে নারাজ অনেকে। একটি রুশ সংবাদ সংস্থার দাবি, আলোচনায় বসার জন্য এ ভাবেই আমেরিকাকে চাপ দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। সরাসরি কিছু না বললেও উত্তর কোরিয়ার হাবেভাবে কিন্তু সে কথাই স্পষ্ট। আজ পিয়ংইয়্যাং জানায়, দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী হিসেবে মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়োর অপসারণ চায় তারা। উত্তর কোরিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেছেন, ‘‘পম্পেয়োকে না সরালে কোনও আলোচনাই অর্থবহ হবে না। আমেরিকার উচিত এমন কাউকে নিয়োগ করা যিনি আরও পরিণতমনস্ক এবং সংযত।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
গত বছর অন্তত চার বার উত্তর কোরিয়া গিয়ে কিমের সঙ্গে দেখা করেছেন পম্পেয়ো। তা-হলে কেন এই পম্পেয়ো-বিদ্বেষ? জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে মার্কিন সেনেটে সাব-কমিটির একটি শুনানিতে পম্পেয়ো বলেছিলেন, ‘‘শাসক হিসেবে কিম যথেষ্ট অত্যাচারী।’’ তার পর থেকেই পম্পেয়োর উপরে বেজায় খাপ্পা পিয়ংইয়্যাং। সে দেশের এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, ‘‘পম্পেয়োর মন্তব্য কিমের পক্ষে অপমানজনক।’’ কূটনীতিকদের মতে, পম্পেয়োকে তারই জবাব ফেরাল উত্তর কোরিয়া।