গত সপ্তাহে কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক হলেও পরমাণু কেন্দ্রে সক্রিয়তায় দাঁড়ি পড়েনি। ছবি: এএফপি।
গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনের পরে উত্তর কোরিয়া আশ্বাস দিয়েছিল, পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্রগুলি ধীরে ধীরে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা হবে। কিন্তু এখন মার্কিন সেনাবাহিনী সূত্রেই খবর মিলছে, নিষ্ক্রিয়করণের কাজ শুরু করেও একটি বিশেষ কেন্দ্রের অংশ পুনরুদ্ধার করেছে কিম জং উনের দেশ। উপগ্রহ চিত্রে তা ধরাও পড়েছে। এই সক্রিয়তার জেরে পিয়ংইয়্যাংয়ের উপরে নয়া নিষেধাজ্ঞা চাপানো হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংবাদ সংস্থা এবং মার্কিন সেনা সূত্রে খবর, উত্তর কোরিয়ার টংচ্যাং-রি এলাকার সোহায়ে পরমাণু কেন্দ্রে ফের কাজকর্ম শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে কিমের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক হলেও সে সক্রিয়তায় দাঁড়ি পড়েনি। বস্তুত ট্রাম্প-কিমের আলোচনাও ভেস্তে যায় এই পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ প্রসঙ্গেই। নিরস্ত্রীকরণের মাত্রা কতটা হবে, তা নিয়ে মতপার্থক্যে আলোচনা মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞা আরও কমানোর জন্য সওয়াল করেছিলেন কিম। এই বিষয়েও আপত্তি ওঠে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তরফে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, ‘‘ওরা (উত্তর কোরিয়া) যদি নিরস্ত্রীকরণের ব্যাপারে ইচ্ছুক না হয়, তা হলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট যা বলে দিয়েছেন, সেটাই হবে। যে কঠিন আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ওদের উপরে চাপানো হয়েছে, তা থেকে কোনও দিনই রেহাই পাবে না উত্তর কোরিয়া।
ভবিষ্যতে আরও নিষেধাজ্ঞার কথাও ভাবা হবে।’’ বোল্টন উত্তর কোরিয়া নিয়ে বরাবরই কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো এ সপ্তাহের গোড়ায় বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ায় মার্কিন প্রতিনিধি দল পাঠানোর ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। কিন্তু বোল্টনের মন্তব্যের পরে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সে সফর আর সম্ভব নয়।