সুখী দেশের তালিকায় এক নম্বরে নরওয়ে, ভারত ১২২!

যুদ্ধ, বিদ্বেষ, অসহিষ্ণুতা, শরণার্থী সমস্যা, বিশ্ব উষ্ণায়ন— এই পৃথিবীতে অসুখী থাকার কারণ অনেক। তবে সেই সব সমস্যাকে দূরে রেখে ভাল থাকার নিরিখে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করল নরওয়ে। আজ আন্তর্জাতিক সুখ দিবসে রাষ্ট্রপুঞ্জ সব চেয়ে সুখী দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যার শীর্ষে নরওয়ে। গত বছরের প্রথম স্থানাধিকারী ডেনমার্ক এ বার দ্বিতীয় স্থানে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

অসলো শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৭ ০৪:১৯
Share:

যুদ্ধ, বিদ্বেষ, অসহিষ্ণুতা, শরণার্থী সমস্যা, বিশ্ব উষ্ণায়ন— এই পৃথিবীতে অসুখী থাকার কারণ অনেক। তবে সেই সব সমস্যাকে দূরে রেখে ভাল থাকার নিরিখে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করল নরওয়ে। আজ আন্তর্জাতিক সুখ দিবসে রাষ্ট্রপুঞ্জ সব চেয়ে সুখী দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যার শীর্ষে নরওয়ে। গত বছরের প্রথম স্থানাধিকারী ডেনমার্ক এ বার দ্বিতীয় স্থানে।

Advertisement

তালিকায় ভারত রয়েছে ১২২ নম্বরে। ২০১৩-১৫-র রিপোর্টে ভারতের স্থান ছিল ১১৮। অর্থাৎ এ বছর ভারতের রেজাল্ট তুলনামূলক ভাবে আরও খারাপ। উল্লেখযোগ্য ভাবে, ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলি কিন্তু ভারতের থেকে অনেকটাই এগিয়ে। যেমন, তালিকায় চিনের স্থান ৭৯, পাকিস্তান ৮০, নেপাল ৯৯, বাংলাদেশ ১১০ আর শ্রীলঙ্কা ১২০। এ বছর তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে যথাক্রমে আইসল্যান্ড, সুইৎজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড। আর তালিকার সব চেয়ে পিছনে রয়েছে মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ১৫২ নম্বরে। আর ইয়েমেন ১৪৭ নম্বরে।

প্রতি বছর ১৫০টির বেশি দেশের প্রায় হাজার মানুষের কাছে কয়েকটি প্রশ্ন রাখা হয়। তারই নিরিখে বিচার হয় কোন দেশে কত মানুষ সুখী। এবং কেন সুখী। সে ক্ষেত্রে একটি দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার, মানুষের গড় আয়ু, সামাজিক সহায়তা, কাজ করার স্বাধীনতা, দুর্নীতি ইত্যাদি বিষয়গুলি মাপকাঠি হিসেবে গণ্য হয়। কেন একটি দেশের থেকে অন্য দেশ বেশি সুখী, তা-ও পরিসংখ্যানের বিচারে খুঁজে দেখা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: মেক্সিকো সীমান্তে কেমন হবে দেওয়াল, বাতলে দিচ্ছেন খোদ ট্রাম্প

এই বছরের রিপোর্টে আমেরিকাকে আলাদা পরিচ্ছেদে রাখা হয়েছে। তালিকায় আমেরিকার স্থান ১৪ নম্বর। আর্থিক দিক দিয়ে উন্নতি হলেও আমেরিকার খুশির গ্রাফ কয়েক বছর ধরেই নিম্নমুখী। এটাই ভাবিয়ে তুলেছে সমাজবিজ্ঞানীদের। তাঁদের মতে, আমেরিকার সমস্যা সামাজিক। তাই আর্থিক বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্নীতি, বৈষম্য, একাকীত্বর মতো সামাজিক ব্যাধিগুলির উপরও আমেরিকার নজর দেওয়া প্রয়োজন।

ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, বেশি বেতনভোগী ব্যক্তিরা স্বভাবতই অন্যদের থেকে বেশি সুখী। তবে টাকাই সব নয়। তাই এ বছর রিপোর্টে সুখী থাকার সামাজিক ভিত্তির উপরে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। যেমন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জ্যান ইম্যানুয়েল ডে নেভ বলেছেন, মানুষের জীবনের বেশি সময়টাই কাটে কর্মক্ষেত্রে। তাই সুখী হওয়ার সঙ্গে কর্মসংস্থানের প্রশ্নটি গভীর ভাবে জড়িয়ে আছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন