রোহিঙ্গা স্রোত হঠাৎ থমকে বাংলাদেশে

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যদিও দাবি করছে, গতকালও তাদের স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে, ভয়াবহ সব অগ্নিকাণ্ডের ছবি। রাখাইনের উত্তরাঞ্চল ঢেকে রয়েছে গাঢ় কালো ধোঁয়ায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইয়াঙ্গন ও ঢাকা শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:০৮
Share:

রাখাইন অশান্তই। মায়ানামার সেনার আগ্রাসনে এরই মধ্যে দেশছাড়া প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ রোহিঙ্গা। জননেত্রী আউং সান সু চি বলছেন, আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। রাখাইন প্রদেশে শান্তি ফেরাতে তাঁর প্রশাসন যথাসাধ্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যদিও দাবি করছে, গতকালও তাদের স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে, ভয়াবহ সব অগ্নিকাণ্ডের ছবি। রাখাইনের উত্তরাঞ্চল ঢেকে রয়েছে গাঢ় কালো ধোঁয়ায়। আস্তানার সঙ্গে পুড়ছে খেত-খামারও। ঘরছাড়া রোহিঙ্গারা যাতে আর ফিরতে না পারে, এখনও গ্রামকে-গ্রাম পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে বেড়াচ্ছে মায়ানমারের সেনা।

Advertisement

কিন্তু সু চি যে দিন তিনেক আগেই জাতির উদ্দেশে বলেছিলেন, ৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে রোহিঙ্গা-মুলুকে আর কোনও সেনা অভিযান হয়নি! দেশের সেনাপ্রধান মিন আউং অবশ্য এমন আগ্রাসনের কথা কার্যত মেনে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে এই মুহূর্তে সেনা অভিযানের কোনও বিকল্প নেই। আজ ফেসবুকে তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘সন্ত্রাস জিইয়ে রাখতে গত কাল রাখাইনের বুথিডাউং টাউনশিপের একটি মসজিদ এবং মাদ্রাসার মাঝামাঝি জায়গায় হাতে তৈরি ল্যান্ডমাইন ফাটিয়েছে রোহিঙ্গা জঙ্গিরা।’’ তাঁর দাবি, মসজিদে সেই সময় প্রার্থনায় বসেছিলেন স্থানীয়রা। যাঁরা কোনও ভাবেই ভিটেমাটি ছাড়তে চান না। অথচ এঁদের মধ্যেই ভয় ঢুকিয়ে দিয়ে অশান্তি ছড়াতে চাইছে জঙ্গিরা। ‘জঙ্গিদমন’ তাই চলছেই।

আরও পড়ুন:আজ ভোট, পাল্লা ভারী মের্কেলেরই

Advertisement

চলছে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের দেশছাড়ার হিড়িকও। একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, এর সংখ্যাটা কোনও ভাবেই সাড়ে ৫ লক্ষের কম নয়। বাহিনীর নৃশংসতায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যাও। দেশছাড়া রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই এখন বাংলাদেশের সীমান্ত-শহর কক্সবাজারে। এখানকার প্রায় প্রতিটি ত্রাণশিবিরই উপচে পড়ছে। তবে বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে আসা উদ্বাস্তুদের স্রোত আপাতত থেমেছে বলেই দাবি বাংলাদেশের। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি জানিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে সীমান্ত উপকূলে তারা একটিও নৌকা ভিড়তে দেখেননি।

রাতারাতি এমনটা হলো কী ভাবে? যুতসই জবাব দিতে পারেনি বাংলাদেশের সেনা। উত্তর মেলেনি রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফেও। কবে, কত জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকছে— এত দিন রোজ তার হিসেব দিয়ে এসেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তবে এ বার থেকে শুধু রবিবারই শরণার্থীদের হিসেব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন