International news

পরমাণু বোমার বোতামটা আমার হাতেই থাকে: কিম

কিমের হুঁশিয়ারি, ‘‘আমাদের পরমাণু বোমার রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে গোটা আমেরিকা। আর সেই পরমাণু বোমার সুইচ রয়েছে আমার ডেস্কেই। এটা হুমকি নয়, এটা বাস্তব।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:৩৭
Share:

টিভিতে সম্প্রচারিত হচ্ছে কিমের অনুষ্ঠান। ছবি: এএফপি।

ইংরেজি নববর্ষে সকলেই শুভেচ্ছা বিনিময় করল। আর উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনের নতুন বছর শুরু হল হুমকি দিয়ে। যে কোনও মুহূর্তে তাঁর ডেস্কের সামনে থাকা পরমাণু বোমার সুইচ টিপে আমেরিকাকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি শানালেন কিম। রবিবার রাতে নতুন বছর উপলক্ষে পিয়ংইয়ংয়ে একটি টিভি চ্যানেলে বক্তব্য রাখেন কিম। সেখানেই এই হুমকি।

Advertisement

কিমের হুঁশিয়ারি, ‘‘আমাদের পরমাণু বোমার রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে গোটা আমেরিকা। আর সেই পরমাণু বোমার সুইচ রয়েছে আমার ডেস্কেই। এটা হুমকি নয়, এটা বাস্তব।’’ তিনি আরও জানান, আমেরিকার ক্ষমতাই নেই এমন একটা পরমাণু শক্তিধর দেশের সঙ্গে যুদ্ধে নামা। ২০১৭-তে পা দিয়েই নতুন বছর উপলক্ষে যে শপথ তিনি নিয়েছিলেন, তাতে সফল হয়েছেন। উত্তর কোরিয়ায় ২০১৭ –তে প্রচুর পরিমাণে পরমাণু বোমা তৈরি হয়েছে। নতুন বছরেও পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে আরও বেশি ফোকাস করতে চান তিনি। যাতে আমেরিকা কখনও তাঁর এবং উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে না পারে। পাশাপাশি কিমের সংযোজন, অহেতুক এই সমস্ত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না, তাঁর দেশের নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন হলে তবেই একমাত্র সেগুলো ব্যবহার করবেন তিনি।

মাত্র দু’সপ্তাহ (১৯ ডিসেম্বর) আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জ পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিমকে জব্দ করতে বিধি-নিষেধ আনা হয় উত্তর কোরিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রের উপরে। যেমন পরিশোধিত পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্যের জোগান সীমিত করে দেওয়া হয়। বিদেশে কাজ করা উত্তর কোরীয় শ্রমিকদের উপরে চাপানো হয় বিধি-নিষেধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও দমবার পাত্র নন কিম। বছরের শুরুতেই আমেরিকাকে হুমকি দিয়ে তা ফের বুঝিয়ে দিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিক্ষোভের বলি দুই, ফের হুমকি ইরানের

তবে এ দিন কিছুটা হলেও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি নরম সুর শোনা গিয়েছে কিমের গলায়। বছরের শুরুতেই দক্ষিণ কোরিয়ার পাইয়ংচ্যাং-এ ২০১৮ উইন্টার অলিম্পিক সংগঠিত হতে চলেছে। সেই অলিম্পিকে যোগদান করতে চেয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে কথা বলছে কিম। দুই কোরিয়ার মধ্যে যে একতা রয়েছে, তা এর মাধ্যমেই প্রমাণ করা যাবে, ওই টিভি চ্যানেলে দাবি কিমের।

যদিও এটাও নতুন কোনও বিষয় নয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ভাল করার কথা এর আগেও একাধিক বার বলতে শোনা গিয়েছে কিমকে। সোলের সঙ্গে ওয়াশিংটনের ব্যবধান বাড়াতেই কিমের এই প্রয়াস, মনে করছেন শোলের ইয়নসেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনের শিক্ষক জন ডেলুরি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন