কিম জং উন। ছবি: রয়টার্স।
বাগ্যুদ্ধ চলছেই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার টুইটারে লিখেছিলেন, ‘‘গত ২৫ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট এবং প্রশাসনিক কর্তারা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। অনেক চুক্তি করা হয়েছে। বিপুল অর্থ খরচ হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। উত্তর কোরিয়া একটা মাত্র ভাষা বোঝে।’’ আর সেই টুইটের মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমেরিকার বিরুদ্ধে কার্যত পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দিয়ে দিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন। ট্রাম্পকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বললেন, ‘‘মার্কিন হুমকির একমাত্র জবাব পরমাণু অস্ত্র দিয়েই দেওয়া সম্ভব।’’
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়ার জন্য একটাই ওষুধ: ট্রাম্পের মন্তব্যে যুদ্ধের জল্পনা তুঙ্গে
গত কাল, শনিবার ওয়ার্কার্স পার্টি অব কোরিয়া (ডবলুপিকে)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক বসেছিল। সেই বৈঠকেই ডবলুপিকে-এর চেয়ারম্যান কিম মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘আমেরিকা গুন্ডাগিরি করে দমনপীড়ন চালাচ্ছে। আমাদের ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আসলে যুদ্ধপিপাসু মার্কিন প্রেসিডেন্ট এই মুহূর্তে যুদ্ধ ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারছেন না। এক মাত্র পরমাণু অস্ত্র দিয়েই এই হুমকির জবাব দেওয়া সম্ভব।’’ তবে, যুদ্ধ বাধালে আমেরিকার বিপুল ক্ষতি হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কিম।
আরও পড়ুন: কিমের নতুন ক্ষেপণাস্ত্রে চাপা উদ্বেগে আমেরিকা
সূত্রের খবর, বৈঠকে কিম দাবি করেছেন, আমেরিকার ফাঁদে পা দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াও তাদের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করছে। এর পরই কিমের হুমকি, যে কোনও হামলার বিরুদ্ধে জবাব দিতে প্রস্তুত পিয়ংইয়ং।