মার্কিন কংগ্রেসকে এড়িয়ে অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এই পরিবর্তনের ফলে যে সব ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি কর্মী মার্কিন গ্রিন কার্ড পাওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁদেরও সুবিধে হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ওবামা জানিয়েছেন, মার্কিন অভিবাসন নীতি দিশাহীন হয়ে গিয়েছে। তাই এই পরিবর্তন প্রয়োজন। কংগ্রেসের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা না করে এ বিষয়ে প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করেছেন ওবামা। নয়া নীতির ফলে আমেরিকায় বেআইনি ভাবে থাকা ৫০ লক্ষ মানুষকে সে দেশ থেকে
সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ হয়ে গেল।
আমেরিকায় জন্ম হয়েছে এমন ব্যক্তিদের অনেকের বাবা-মার সে দেশে স্থায়ী ভাবে থাকার অনুমতি নেই। আবার অনেক শিশুকে বেআইনি ভাবে আমেরিকায় আনা হয়। মূলত মার্কিন সমাজের এই অংশের কথা মাথায় রেখেই নয়া নীতি তৈরি করেছে ওবামা প্রশাসন। কিন্তু এতে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের মতো দক্ষ পেশাদারদেরও সুবিধে হতে পারে। এখন স্থায়ী ভাবে থাকার অনুমতি বা গ্রিন কার্ডের জন্য আর্জি জানিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। প্রক্রিয়া শেষ হতে কয়েক বছর সময় লাগে। সেই সময়ে এই ধরনের পেশাদার ও তাঁদের স্বামী বা স্ত্রী-রা শহর বা চাকরি বদলাতে পারেন না। বিয়ে করার ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা যায়। এখন এই ধরনের পেশাদাররা যাতে সহজে চাকরি বা শহর বদল করতে পারেন সে জন্য পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন করবে হোমল্যান্ড সিকিওরিটি দফতর। অনেক ক্ষেত্রে ওই পেশাদারের স্বামী বা স্ত্রী-ও গ্রিন কার্ডের আবেদন করে থাকলে তাঁদের চাকরি করার সুযোগও দেওয়া হবে।
বেআইনি ভাবে আমেরিকায় আসা ব্যক্তিদের ওবামা সহজেই সে দেশে থাকতে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন বলে তোপ দেগেছেন রিপাবলিকানরা। প্রেসিডেন্টের পাল্টা যুক্তি, এঁরা অনেকেই অন্য সব ক্ষেত্রে মার্কিন আইন মেনে চলেন। নয়া নীতির ফলে সহজেই আমেরিকার এই সব বাসিন্দা মার্কিন সমাজের মূল স্রোতে যোগ দিতে পারবেন।
রবসন মৃত্যু-রহস্য ঘুচবে স্টিভের ছবিতে
সংবাদ সংস্থা • লন্ডন
লাগাতার সমানাধিকারের জন্য লড়াই করার ‘অপরাধে’ মার্কিন প্রশাসনের চোখে বিশ্বাসযোগ্যতা খোয়ান অভিনেতা ও গায়ক পল রবসন। তার পর ঠিক কী হয়েছিল, কী ভাবেই বা মারা গিয়েছিলেন তিনি? ৩৮ বছর পুরনো এই সব প্রশ্নেরই উত্তর এ বার মিলবে স্টিভ ম্যাককুইন পরিচালিত পল রবসনের ‘বায়োপিক’-এ। সম্প্রতি এই বায়োপিক বানানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন অস্কারজয়ী ‘টুয়েলভ ইয়ার্স আ স্লেভ’-ছবির পরিচালক স্টিভ। তবে রবসনকে নিয়ে এই কৃষ্ণাঙ্গ পরিচালকের আগ্রহ কৈশোর থেকেই। শুধু ছবির রসদ সংগ্রহ করতেই এতগুলো বছর লেগেছে স্টিভের। তাঁর মতে, অভিনয়, গানের পাশাপাশি পল রবসন যে কত বড় মাপের মানবাধিকার কর্মী, তা আগামী প্রজন্মের জানা দরকার। সে সঙ্গে এটাও জানা দরকার যে নিজের জীবনদর্শনের জন্য ঠিক কী কী ভুগতে হয়ে তাঁকে। শোনা যায়, মার্কিন প্রশাসন যখন তাঁকে নানা ভাবে হেনস্থা করছে, তখন অবসাদগ্রস্তও হয়ে পড়েন পল। আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তখনই। কিন্তু তাঁর ছেলের দাবি, এর নেপথ্যে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-য়ের হাত ছিল। সত্যাসত্য নিয়ে তর্ক হতে পারে। তবে এ কথাও ঠিক, যে পল রবসনের মতো ব্যক্তিত্বকে নিয়ে বায়োপিক বানানোর উদ্যোগ এখনও কোনও মার্কিন পরিচালক দেখিয়ে উঠতে পারেননি।