পাকিস্তানের প্রথম হিন্দু মহিলা সেনেটর কৃষ্ণা কুমারি কোহালি। ছবি কৃষ্ণার টুইটার অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।
এ বছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস একটু অন্যরকম ভাবে পালন করল পাকিস্তানের পার্লামেন্ট। কৃষ্ণা কুমারি কোহালি পাকিস্তানের প্রথম হিন্দু মহিলা সেনেটর। নারী দিবসে মহিলাদের প্রতি সম্মান জানাতে কৃষ্ণাকে পার্লামেন্টের আপার হাউস পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ওই দিন। পার্লামেন্ট পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত কৃষ্ণা জানিয়েছেন, তাঁকে মনোনীত করায় তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন।
৪০ বছর বয়সী কৃষ্ণা ২০১৮-র মার্চ মাসে সেনেটর হিসাবে নির্বাচিত হন। সেনেটর নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি অধিকাংশ সময়ে কাজ করেছেন চুক্তিবন্ধ শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে।সিন্ধের নগরপকর এলাকার ধানাগাম গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণা। ওই এলাকার কোহালি সম্প্রদায় থেকে উঠে এসে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের চালকের আসনে বসলেন তিনি।
তবে পাকিস্তান পার্লামেন্ট পরিচালনার সুযোগ পেলেও তাঁর ছোটবেলা কেটেছে প্রচুর বাধাবিপত্তির মধ্য দিয়েই। কুর্নিতে বসবাস করার সময় তাঁর পরিবার বাড়ি মালিকের হাতে বন্দি ছিল প্রায় তিন বছর। সেই সময় কৃষ্ণা ছিলেন তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। সে সময় কৃষ্ণা ছিলেন নবম শ্রেণির ছাত্রী।
যদিও এই বিয়ে বা বন্দি দশা দমিয়ে রাখতে পারেনি কৃষ্ণাকে। বিয়ের কয়েক বছর পরেই তিনি ফের পড়াশোনা শুরু করেন। ২০১৩-য় সিন্ধ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি সমাজবিদ্যায় স্নাতকোত্তর পাশ করেন। তারপর পাকিস্তান পিপলস পার্টিতে যোগ দিয়ে সমাজকর্মী হিসাবে কাজ শুরু করেন। সেখান থেকে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট পরিচালনার ভার পেয়ে পাকিস্তানে সংখ্যালঘু অধিকারের মাইলস্টোন ছুঁলেন কৃষ্ণা।
আরও পড়ুন: নারী দিবসে সামনে এল বিশ্বের বিভিন্ন জেলে বন্দি ৩২ মহিলা সাংবাদিক!