বিধ্বংসী: ‘অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ’। সিরিয়ার কুর্দ বাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে শনিবার এ ভাবেই বিমান হামলা চালাল তুরস্ক। ছবি: এপি।
উত্তর সিরিয়ার কুর্দ ঘাঁটি লক্ষ্য করে তারা বিমান হানা চালিয়েছে বলে দাবি করল তুরস্ক। ফলে আমেরিকার সঙ্গে তুরস্কের উত্তেজনা ফের বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারি ভাবে এই হামলাকে ‘অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ’ বলছে তুরস্ক।
২০১২ থেকে সিরিয়ার আফরিন এলাকায় ঘাঁটি গেড়েছে কুর্দ যোদ্ধারা। আইএস-এর সঙ্গে লড়তে তারাই আমেরিকাকে অনেকাংশে সাহায্য করছে। কিন্তু তুরস্ক এদেরও জঙ্গি বলে। এদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর হুমকি আগেই দিয়ে রেখেছিল তারা। আজ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্দোগান জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য এ বার মানবিজ শহর। আফরিন থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরের এই শহরও কুর্দদের ঘাঁটি। রাশিয়া বলেছে, আফরিনের লড়াইয়ে নাক গলাবে না তারা। কিন্তু ফোঁস করেছে সিরিয়া। বাশার-আল-আসাদের সরকার জানিয়েছে, তুরস্কের যুদ্ধবিমান দেখলেই গুলি করে নামানো হবে।
আইএস দমনে মার্কিন মদত পেয়ে আসছে সিরিয়ান কুর্দিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিট (ওয়াইপিজি)। কিন্তু তুরস্ক মনে করে, এদের সঙ্গে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-এর যোগসাজশ রয়েছে। আটের দশক থেকেই পিকেকে-র সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে তুরস্কের। এরা তুরস্কে নিষিদ্ধ। সেই কারণেই গত ক’মাস ধরে আফরিন এবং মানবিজ এলাকা থেকে কুর্দদের সরে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছিল এর্দোগান সরকার। কিন্তু বিমান হানা কেন?
সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ)-র অন্যতম সদস্য হল ওয়াইপিজি। আমেরিকা সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, সিরিয়ায় আইএসের উত্থান ঠেকাতে এই এসডিএফ-কে নয়া বাহিনী গড়ে তুলতে সাহায্য করবে তারা। তাতেই চটেছেন এর্দোগান। মনে করা হচ্ছে, বিমান হানার অনুঘটক ট্রাম্প প্রশাসনের ওই ঘোষণাই। এর্দোগান বলেছেন, ‘‘পিকেকে, ওয়াইপিজি— সব এক। নাম বদলালেই কারও জঙ্গি পরিচয় মুছে যায় না।’’