International news

একটা মাত্র ফেসবুক পোস্ট, রাতারাতি মডেল বনে গেলেন নীল চোখের ‘চা-ওয়ালা’

ক্যামেরার একটা ক্লিকেই ক্লিক করে গেল কেরিয়ার। দামী ক্যামেরার শাটার স্পিডের মতোই দ্রুত বদলে গেল জীবন। ‘চা-ওয়ালা’ আরশাদ খান রাতারাতি হয়ে উঠলেন হইচই ফেলে দেওয়া মডেল। সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অবশ্যই চিত্রগ্রাহক জাভেরিয়া আলি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৬ ১৬:১৮
Share:

আরশাদ খান।

ক্যামেরার একটা ক্লিকেই ক্লিক করে গেল কেরিয়ার। দামী ক্যামেরার শাটার স্পিডের মতোই দ্রুত বদলে গেল জীবন। ‘চা-ওয়ালা’ আরশাদ খান রাতারাতি হয়ে উঠলেন হইচই ফেলে দেওয়া মডেল। সৌজন্যে সোশ্যাল মিডিয়া এবং অবশ্যই চিত্রগ্রাহক জাভেরিয়া আলি।

Advertisement

পথচলতি ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা জাভেরিয়া আলির অনেক দিনের অভ্যাস। আকর্ষণীয় বা উৎসাহব্যঞ্জক কিছু চোখে পড়লেই জ্বলে ওঠে জাভেরিয়ার ক্যামের ফ্ল্যাশবাল্ব। কিন্তু তাঁর ফ্ল্যাশবাল্বের এক ঝলকানিতে চা বিক্রেতা আরশাদের জীবন যে এত উজ্জ্বল হয়ে উঠবে, জাভেরিয়া আলিও সম্ভবত তা আগে আঁচ করতে পারেননি। ইসলামাবাদের কোনও এক প্রান্তে চা-বিক্রি করছিলেন আরশাদ খান। রোজ যেমন করেন। সদ্য ১৮ পেরনো সুদর্শন তরুণ, সুঠাম চেহারা, নীল চোখ। চা বিক্রি করছিলেন ঠিকই, কিন্তু ঠিক চা-বিক্রেতা সুলভ মনে হয়নি জাবেরিয়ার। সুদর্শন ‘চা-ওয়ালা’র ছবি তুলে নেন জাভেরিয়া। অভ্যাস মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করে দেন। তাতেই বদলে গিয়েছে আরশাদ খানের জীবন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই পাক চিত্রগ্রাহক যে ছবিটি পোস্ট করেছিলেন, তাতে আরশাদকে চা বানাতেই দেখা যাচ্ছিল। গাঢ় নীল দৃষ্টি ক্যামেরার লেন্সের দিকে। সেই ভাবেই এক পাত্র থেকে অভ্যস্ত হাতে চা ঢালছেন আর এক পাত্রে। ১৪ অক্টোবর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবিটি পোস্ট করেছিলেন জাভেরিয়া। ক্যাপশন ছিল ‘গরম চা আর নীল দৃষ্টি’। জাভেরিয়া আলির এই পোস্ট রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। লাইকস, শেয়ারস আর কমেন্টসের বান ডাকে আরশাদের ছবির নীচে।

Advertisement

আরও পড়ুন: সিবিএসই ক্লাস টেনে বোর্ডের পরীক্ষা ফিরে আসতে পারে

জাভেরিয়া ছবি পোস্ট করেছিলেন যে দিন, তার পর দিন সকালেই আরশাদের চায়ের দোকানে গিয়ে হাজির হয় ইসলামাবাদেরই একটি অনলাইন শপিং সংস্থা। ফ্যাশনেবল পুরুষ পোশাকের বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁকে। রাজিও হয়ে যান আরশাদ। তার পরই পাকিস্তানের মডেলিং দুনিয়ায় গত এক সপ্তাহে সবচেয়ে চর্চিত নামটি হয়ে উঠেছে আরাশাদ খান।

ইসলামাবাদের নামী সংবাদমাধ্যম তাঁর ইন্টারভিউ নিয়েছে ইতিমধ্যেই। আপ্লুত আরশাদ জানান, দীর্ঘ ২৫ বছর তাঁর পরিবার ইসলামাবাদে রয়েছে। অর্থাৎ তাঁর জন্মের আগে থেকে। বয়স ১৮ হওয়ার পর সবে মাসখানেক আগে তিনি ওই চায়ের দোকানে কাজ করা শুরু করেন। এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত স্বপ্নেও ভাবেননি জীবন এমন আমূল বদলে যাবে। আরশাদের বন্ধুমহলও উচ্ছ্বসিত। ফেসবুক, টুইটারে পোস্ট হওয়া আরশাদের বিভিন্ন ছবি এখন তাঁর বন্ধুরাই তাঁকে দেখাচ্ছেন।

আর সেই ফটোগ্রাফার, যাঁর একটি ক্লিকই জীবন বদলে দিল আরশাদের? ওয়েডিং এবং ইভেন্ট ফটোগ্রাফার জাভেরিয়া আলিও কখনও ভাবেননি, তাঁর ফ্ল্যাশবাল্বের একটা ঝলকানি আরশাদকে ঘিরে এ ভাবে জ্বালিয়ে দেবে হাজার হাজার ফ্লাশবাল্ব। আনন্দে আত্মহারা জাভেরিয়াও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন