ইমরান খান।—ফাইল চিত্র।
মোবাইলকে অ্যাপ হাতিয়ার করেই কামাল কাপ্তানের!
পাকিস্তানে নির্বাচন জেতার পিছনে সেনা যদি ইমরানের বড় সহায় হয়ে থাকে, তবে মোবাইল অ্যাপও কিছু কম যায় না। এ বারের ভোট প্রচারে ইমরানের হাতিয়ার উঠেছিল ডেটাবেস এবং মোবাইল অ্যাপ। যার সাহায্যে সহজেই সাধারণের কাছে পৌঁছে যেতে পেরেছেন ইমরান খান এবং তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। যাকে পাকিস্তানের বুকে ‘বিপ্লব’ বলছেন ইমরান।
কাপ্তানের কথায়, ‘‘এই নয়া পদ্ধতি আমাদের বিপ্লব ঘটানোর পক্ষে খুব কার্যকর ভূমিকা নিয়েছে। সাধারণ ভোটারের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। আমাদের কথা, নীতি সহজে সাধারণের কাছে তুলে ধরতে পেরেছি। এর মাধ্যেম ভোটারদের সঙ্গে আমাদের কার্যত সরাসরি সংযোগ স্থাপন স্থাপন সম্ভব হয়েছে।’’
পিটিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন এই পদ্ধতির নাম ‘কনস্টিটিউয়েন্সি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ বা সিএমএস। এই পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই পাঁচ কোটির বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া গিয়েছে। বোঝানো গিয়েছে দলের লক্ষ্য ও ভাবধারা।
আরও পড়ুন: ইমরানের শপথ আটকাতে জোট বাঁধার পরিকল্পনা বিরোধীদের
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত হোক বা আমেরিকা। এত দিন ভোট প্রচারে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি তথা মোবাইলকে বারবার কাজে লাগানোর ছবি দেখা গিয়েছে। রাহুল থেকে মোদী বা ট্রাম্প— সবাই নিজেদের নির্বাচনী প্রচারের একটা অংশ সেরে ফেলেছিলেন মোবাইলকে কাজে লাগিয়ে। নিজস্ব অ্যাপের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে দ্রুত পৌঁছে গিয়েছিলেন। দলের তরফে জানানো হয়েছে, এই অ্যাপ শুধু দলের ভাবধারা প্রচার করা নয়, বিশেষ কার্যকর হয়ে উঠেছিল নির্বাচনের দিনও। নির্বাচনের দিন কোনও সমস্যায় পড়লে এই অ্যাপের মাধ্যেমে দলের সমর্থকরা সহজেই তা জানাতে পেরেছেন, দাবি পিটিআইয়ের।
এই নয়া পদ্ধতির সম্পর্কে বলতে গিয়ে পিটিআইয়ের অন্যতম সদস্য আমির মুঘল বলেন, ‘‘এই পদ্ধতি আমরাই প্রথম নিয়ে এসেছি। এর মাধ্যমে দলের মতামত, ভাবধারা সাধারণের কাছে তুলে ধরেছি।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘এ ভাবে সাধারণের কাছে পৌঁছাতে পারার ফল আমরা পেয়েছি। মানুষ আমাদের কথা শুনেছেন। বুঝেছেন। ভোটের ফলাফলই তার প্রমাণ।’’
আরও পড়ুন: ঋণখেলাপি ধনকুবেরদের ফেরার হওয়া আটকাতে বিলে সম্মতি রাষ্ট্রপতির
কী ভাবে কাজ করেছে এই অ্যাপ—
পিটিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে,অ্যাপে ভোটাররা পরিচয় পত্রের নম্বর লিখলেই তাঁদের বিষয়ে পুরো তথ্য উঠে এসেছে দলের কাছে। সেই ব্যক্তির বাড়ির ঠিকানা, পরিচয় সবই জানতে পারা গিয়েছে। আর এটাই সাহায্য করেছে দলের প্রচারে, দাবি আমিরের। সব তথ্য জানার পর প্রচারের বিষয়ে একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়।
এখানেই শেষ নয়।
কী ভাবে ভোট দেবেন, সে বিষয়েও ভোটারদের সাহায্য করেছে এই অ্যাপ। পিটিআই সমর্থকরা সহজেই কী ভাবে ভোট দেবেন, কোন চিহ্নে ভোট দেবেন, সে বিষয়ে প্রিন্ট আউট বের করতে পেরেছেন। যাতে ভোট দেওয়ার সময় ভুল না হয়, সে জন্য সব রকম সাহায্য পাওয়া গিয়েছে।