International News

‘টেররিস্তান’ বলে রাষ্ট্রপুঞ্জে পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ ভারতের

বৃহস্পতিবারে সাধারণ সভার বৈঠকে পাক প্রধানমন্ত্রী যখন সন্ত্রাসের বিষয়টি থেকে সকলের দৃষ্টি সরিয়ে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ভারতের ভূমিকাকে আলোকপাত করার চেষ্টা করেন, ভারতও পাল্টা জবাব দেয়। বলে, নিজের দেশের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে চাপা দিতে এটা পাকিস্তানের দীর্ঘ দিনের একটা কৌশল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১১:৪০
Share:

রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের প্রতিনিধি ইনাম গম্ভীর। ফাইল ছবি।

পাকিস্তান হল ‘টেররিস্তান’। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় গিয়ে এ ভাবেই পাকিস্তানকে আক্রমণ করল ভারত। সাধারণ সভার অধিবেশনে পাকিস্তান যে কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করবে সেটা আগেই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খকন আব্বাসি যখন কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে খোঁচা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তখনই তাঁকে স্টেপ আউট করে বাইরে পাঠিয়ে দেন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি ইনাম গম্ভীর।

Advertisement

আরও পড়ুন: ভারতের জন্যই মজুত পরমাণু অস্ত্র : পাক প্রধানমন্ত্রী

পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে কথা তুলতেই ইনাম বলেন, “পাকিস্তানের নামটা সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে। সন্ত্রাসের আতুঁড় ঘর পাকিস্তান। সন্ত্রাসের জন্ম দেওয়া থেকে শুরু করে সন্ত্রাসের আমদানি-রফতানিতেও যে ভাবে পাকিস্তান মদত জোগাচ্ছে তা আজ সারা বিশ্বের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শুধু আব্বাসি নন, এর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জে গিয়ে কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও। সে বারেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি তিনি। উল্টে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আমেরিকা। এ বারও সেই একই প্রচেষ্টা চালিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু আব্বাসির সেই চেষ্টা একেবারে অঙ্কুরেই বিনাশ করেছেন ইনাম।

Advertisement

সম্প্রতি হাফিজের জামাত-উদ-দাওয়া পাকিস্তানের একটি উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছে। ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে জামাত-উদ-দাওয়া পাকিস্তানের সব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের তালিকায় থাকা একটা জঙ্গি সংগঠন হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পায়, পরোক্ষে সে প্রশ্নও সাধারণ সভায় তোলে ভারত। শুধু তাই নয়, ওসামা বিন লাদেন এবং মোল্লা মহম্মদ উমরের মতো জঙ্গি নেতাদের নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার পরেও পাকিস্তান যে ভাবে ‘ভাল’ সাজার ছল করেছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে পাকিস্তানের এই নীতি আর অপরিচিত নয় বলেও রাষ্ট্রপুঞ্জে অভিযোগ করে ভারত।


রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা। ছবি: এএফপি।

আরও পড়ুন: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ‘ইউ বোটে’ অক্ষত ২৩টি দেহ

বৃহস্পতিবারে সাধারণ সভার অধিবেশনে পাক প্রধানমন্ত্রী যখন সন্ত্রাসের বিষয়টি থেকে সকলের দৃষ্টি সরিয়ে কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে ভারতের ভূমিকাকে আলোকপাত করার চেষ্টা করেন, ভারতও পাল্টা জবাব দেয়। বলে, নিজের দেশের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপকে চাপা দিতে এটা পাকিস্তানের দীর্ঘ দিনের একটা কৌশল। কাশ্মীর যেমন ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, আগামী দিনে তেমনই থাকবে। পাকিস্তান যতই সীমান্তে সন্ত্রাস চালিয়ে শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করুক না কেন, তাদের সে চেষ্টা সফল হবে না। আব্বাসি ওই দিন কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তেরও দাবি জানান। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে সেই সঙ্গে একটি তদন্তকারী কমিশনেরও দাবি জানান তিনি। আব্বাসির এই দাবির উত্তরে ভারত পাল্টা হুঁশিয়ারি দেয়, কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান নিজেকে দূরে রাখুক। পাল্টা প্রশ্ন তোলে, একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র যেখানে সন্ত্রাসের বীজ বোনা হয়, সেই রাষ্ট্রের কাছ থেকে গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের পাঠ শিখতে হবে?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement