US-Pakistan Ties

‘মহান নেতা, মহান মানুষ’! ট্রাম্পের মুখে শাহবাজ়-মুনিরের প্রশংসা, হোয়াইট হাউসে বৈঠক সারলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সাধারণ সভার অধিবেশনের জন্য আমেরিকাতেই রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। সেই সফরের মধ্যেই নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন এসে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫৮
Share:

(বাঁ দিকে) পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং সে দেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম কোনও পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বৃহস্পতিবারের (স্থানীয় সময়) বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও পক্ষই এখনও কিছু জানায়নি।

Advertisement

রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সাধারণ সভার অধিবেশনের জন্য আমেরিকাতেই রয়েছেন শাহবাজ়। সেই সফরের মধ্যেই নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন এসে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। বিভিন্ন সূত্রে খবর, আমেরিকা এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, পশ্চিমি দেশগুলির ইসলাম-ভীতি এবং সন্ত্রাস-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈঠকের আগেই শাহবাজ়কে ‘মহান নেতা’ এবং মুনিরকে ‘মহান মানুষ’ বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।

পহেলাগাঁও হত্যাকাণ্ডের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা বেড়েছিল। নতুন করে সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। সেই আবহে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নতুন করে সাজাতে দেখা যায় পাকিস্তানকে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হওয়ার পর বার দুয়েক আমেরিকা সফরে গিয়েছেন মুনির। বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রশাসনের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং মন্ত্রীর সঙ্গে। আমেরিকায় দাঁড়িয়ে ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। শুধু তা-ই নয়, সম্প্রতি আমেরিকার সঙ্গে একটি চুক্তিও সই করেছে পাকিস্তান। চুক্তি অনুয়ায়ী, সে দেশের তৈলভান্ডারের উন্নতিতে পাকিস্তান এবং আমেরিকা যৌথ ভাবে কাজ করবে।

Advertisement

গত মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের সামরিক সংঘর্ষের কৃতিত্ব বার বার দাবি করেছেন ট্রাম্প। ভারত সেই দাবিতে পাত্তা না-দিলেও পাকিস্তান প্রথম থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রশংসা করে আসছে। অনেকেরই দাবি, ভারতকে চাপে রাখতে আমরিকার সঙ্গে ‘কৌশলগত’ সম্পর্ক উন্নতির চেষ্টা করছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবারের বৈঠকেও কাশ্মীর সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন শাহবাজ় এবং মুনির। যদিও ভারত বার বার কাশ্মীর সমস্যাকে দ্বিপাক্ষিক বলে উল্লেখ করেছে। এই সমস্যায় তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপ চায় না নয়াদিল্লি।

পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বার বার ভারত সন্ত্রাসের মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। যদিও পাকিস্তানের দাবি, তারা কোনও ভাবেই সন্ত্রাসের পক্ষে নয়। সন্ত্রাস দমনে বহু পদক্ষেপ করেছে তারা। শুধু তা-ই নয়, বিশ্ব মঞ্চে পাকিস্তান বার বার নিজেকে ‘সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত’ বলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। অনেকের মতে, সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা ট্রাম্পকে বিস্তারিত জানাবেন শাহবাজ়। আলোচনায় উঠে আসতে পারে আফগানিস্তানের পরিস্থিতিও।

ভারতের উপর ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। শুধু তা-ই নয়, রাশিয়া থেকে ভারত যদি তেল কেনা বন্ধ না-করে, তা হলে ভবিষ্যতে আরও শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে মার্কিন প্রশাসন। তবে সে দিক থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধে জড়ায়নি আমেরিকা। ভারতের পড়শি দেশের উপর মাত্র ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিভিন্ন সূত্রে দাবি, সেই শুল্কের হারও কমানোর চেষ্টায় আছে পাক সরকার। বৃহস্পতিবারে বৈঠকে শুল্ক নিয়ে আলোচনা হয়েও থাকতে পারে বলে মত অনেকের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement