ফের গ্রে লিস্টে! সিঁটিয়ে পাকিস্তান

পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে গত কয়েক মাস ধরেই আটঘাট বাঁধছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। ইসলামাবাদের সন্ত্রাস-দমন নীতিতে বারবার নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। সেই মতোই, পাকিস্তানকে গ্রে লিস্টে ঢোকানোর ব্যাপারে প্যারিসের আন্তর্জাতিক নজরদার গোষ্ঠীর কাছে প্রস্তাব পেড়েছিল তারা। পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত-ফ্রান্স-ব্রিটেনও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

প্যারিস শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৩
Share:

শেষরক্ষা হল না। ‘বন্ধু’ চিন মাথার উপর থেকে হাত সরিয়ে নিতেই মুখ পুড়ল পাকিস্তানের।

Advertisement

প্যারিসে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) বৈঠকে কাল রাতের সিদ্ধান্ত— ‘সন্ত্রাসে আর্থিক মদতদাতা’ দেশ হিসেবে ফের নজরদারি তালিকায় নাম উঠছে পাকিস্তানের। বৈঠকে হাজির, নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাক কর্মকর্তাও জানিয়েছেন— ‘গ্রে লিস্ট’ ঘোষণা এ বার শুধুই সময়ের অপেক্ষা। পাক বিদেশ মন্ত্রক অবশ্য এখনও মচকাতে নারাজ। আবার জোর দিয়ে এ খবর ওড়াতেও পারছে না তারা।

আমেরিকা কিন্তু ঠিক এটাই চাইছিল। পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে গত কয়েক মাস ধরেই আটঘাট বাঁধছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। ইসলামাবাদের সন্ত্রাস-দমন নীতিতে বারবার নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। সেই মতোই, পাকিস্তানকে গ্রে লিস্টে ঢোকানোর ব্যাপারে প্যারিসের আন্তর্জাতিক নজরদার গোষ্ঠীর কাছে প্রস্তাব পেড়েছিল তারা। পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত-ফ্রান্স-ব্রিটেনও।

Advertisement

টানাপড়েন তবু চলছিলই। পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত বাগড়া দিয়ে আসছিল বেজিং। সঙ্গে জুটেছিল রাশিয়া, সৌদি আরব আর তুরস্ক। শোনা যাচ্ছিল, এ যাত্রায় বুঝি রক্ষা পেয়ে গেল পাকিস্তান। মঙ্গলবার তো পাক বিদেশমন্ত্রী খাজা আসিফ ‘বন্ধুদের’ ধন্যবাদ জানিয়ে টুইটও করে বসেন। জানান, নিজেদের নির্দোষ প্রমাণে আরও তিন মাস সময় পাচ্ছে ইসলামাবাদ। কূটনীতিকদের একাংশের দাবি, নিজেদের সন্ত্রাস-বিরোধী প্রমাণ করতেই মু্ম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সৈয়দকে সম্প্রতি ‘জঙ্গি’ তকমা দিয়েছিল পাকিস্তান।

তবু চিঁড়ে ভিজল না প্যারিসে। এর আগে ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত এফটিএফের গ্রে লিস্টে নাম ছিল পাকিস্তানের। তখন অবশ্য শুধুই অর্থ পাচারের অভিযোগ ছিল। এ বার তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের নালিশ। এফএটিএফের সদস্যদের মধ্যে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, রাষ্ট্রপুঞ্জ, ইউরোপীয় কমিশনের শীর্ষ কর্তারা রয়েছেন। ভোটের বছরে এরা এখন থেকেই যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়— সিঁদুরে মেঘ দেখছে পাকিস্তান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন