ছবি: পিক্সাবে
বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার ক্রমশই কমে আসছে পাকিস্তানে। বাড়ছে ঋণের বোঝাও। এই অবস্থা থেকে পাকিস্তানকে সুরাহা দিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ দিয়েছিল চিন। তার প্রতিদান স্বরূপ পাকিস্তান এখন মিত্র রাষ্ট্রকে পাঠাতে চলেছে প্রায় ৮০ হাজার গাধা।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন এতটাই খারাপ যে, বিদেশি মুদ্রা আয় করতে এখন গাধা রফতানিই হাতিয়ার হতে চলেছে পাকিস্তানের। যদিও চিন গাধা উৎপাদনে বিশ্বের প্রথম, তবুও ওই দেশে গাধার চাহিদা বেড়েই চলেছে দিন দিন। তাই গাধা উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় হলেও, দেশের অতিরিক্ত গাধা চিনে পাঠিয়েই বিদেশি মুদ্রা উপার্জন করতে চাইছে পাকিস্তান।
চিরাচরিত ওষুধ তৈরির জন্য চিনে গাধার চামড়ার চাহিদা ব্যাপক। মূলত রক্তের গুণ বাড়াতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ওষুধ প্রস্তুত করতেই গাধার চামড়া ব্যবহৃত হয়। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের প্রাণিসম্পদ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, চিন সেই দেশে প্রাণিসম্পদ বিকাশের জন্য লগ্নি করতে আগ্রহী। এর জন্য প্রায় দু’হাজার কোটি টাকারও বেশি লগ্নির প্রস্তাব এসেছে চিন থেকে। এই টাকায় অত্যাধুনিক খামার তৈরি করা হবে গাধা পালনের জন্য। প্রাথমিক ভাবে প্রথম তিন বছরে ৮০ হাজার গাধা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশলেই রক্ত বেরিয়ে আসছে মুখ থেকে! ভয়ানক দূষণের শিকার ব্যাঙ্কক
আরও পড়ুন: এক বছর ধরে প্রেম একটি আরশোলার সঙ্গে, দাবি করলেন যুবক