চিনের ‘হঙ্গর’ ডুবোজাহাজ। এমন আটটি ডুবোজাহাজ পাকিস্তানকে দেবে চিন। — ফাইল চিত্র।
আগামী বছরেই চিনের কাছ থেকে ‘হঙ্গর’ ডুবোজাহাজ পেয়ে যেতে পারে পাকিস্তান। এমনটাই মনে করছে পাক নৌসেনা। চিনের ‘হঙ্গর’ ডুবোজাহাজ কেনার জন্য এক দশক আগে বেজিঙের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ইসলামাবাদের। সেই ডুবোজাহাজ আগামী বছরেই প্রথম দফায় পাকিস্তানি নৌসেনায় যুক্ত হবে বলে আশাবাদী ইসলামাবাদ। সম্প্রতি চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইম্স’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন পাক নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল নভীদ আশরাফ।
সামরিক দিক থেকে পাকিস্তান অনেকাংশেই চিনের উপর নির্ভরশীল। ‘স্টকহলম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’-এর এক রিপোর্ট অনুসারে, গত পাঁচ বছরে পাকিস্তান যত অস্ত্র আমদানি করেছে, তার প্রায় ৮১ শতাংশই গিয়েছে চিন থেকে। স্থলবাহিনীর অস্ত্র থেকে শুরু করে যুদ্ধবিমান বা রণতরী— রাওয়ালপিন্ডির তিন বাহিনীই সমরাস্ত্রের জন্য বেজিঙের উপর নির্ভরশীল। চিনের থেকে এই ‘হঙ্গর’ ডুবোজাহাজগুলি কেনার বিষয়ে অনেক দিন আগেই চুক্তি সেরে নিয়েছিল পাকিস্তান।
২০১৫ সালের ওই চুক্তি চিনের কাছ থেকে আটটি ‘হঙ্গর’ ডুবোজাহাজ পাবে পাকিস্তান। এর মধ্যে প্রথম চারটি তৈরি হবে চিনে। বাকি চারটি তৈরি হবে পাকিস্তানে। চুক্তি অনুসারে, ২০২২ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ওই আটটি ডুবোজাহাজ পাওয়ার কথা পাকিস্তানের। ‘গ্লোবাল টাইম্স’-কে পাক নৌসেনা প্রধান জানান, এই চুক্তি পাকিস্তানের নৌসেনার সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দু’দেশের মধ্যে প্রযুক্তি এবং দক্ষতা বিনিময়েও অবদান রাখবে।
চলতি বছরে ভারত-পাক সংঘর্ষের সময়েও রাওয়ালপিন্ডির চিনের উপর নির্ভরতা বেআব্রু হয়েছে। ওই সময়ে চিনা যুদ্ধবিমান, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উপরেই নির্ভর করতে হয়েছে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের বাহিনীকে। ওই সময় মার্কিন এফ-১৬ পাশাপাশি চিনা যুদ্ধবিমান ‘জেএফ-১৭ থান্ডার’ এবং ‘জে১০সি ভিগোরাস ড্রাগন’ ব্যবহার করে তারা।
চিনের চেংদু এয়ারক্র্যাফটস ইন্ডাস্ট্রিজ় গ্রুপের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে নির্মিত চতুর্থ প্রজন্মের ‘মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট’ জেএফ-১৭-র আধুনিকতম সংস্করণ ‘ব্লক-৩’ ভারতে হামলা চালাতে পাক বায়ুসেনা ব্যবহার করেছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট। এর পাশাপাশি, আকাশের লড়াইয়ে ভারতের রাফালের মোকাবিলায় পাক বাহিনীর আধুনিকতম যুদ্ধবিমান জে-১০সি-ও শামিল হয়েছিল বলে কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।