পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। ইসলামাবাদের জন্য ফের এক কিস্তি ঋণে অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের জন্য আরও অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিল আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার (আইএমএফ)। সোমবার ইসলামাবাদের জন্য ১২০ কোটি ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ১০ হাজার ৭৯৯ কোটি টাকা) ঋণে অনুমোদন দিয়েছে আইএমএফ-এর কার্যনির্বাহী বোর্ড।
আইএমএফ-এর দু’টি প্রকল্পের আওতায় আগে থেকেই একটি মোটা অঙ্কের ঋণ মঞ্জুর হয়ে রয়েছে পাকিস্তানের জন্য। তবে ওই ঋণের অর্থ এক বারে দিয়ে দেয়নি আইএমএফ। ঋণের অর্থ দিয়ে কী কাজ হয়েছে, তা নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিশ্লেষণ এবং মূল্যায়ন করে আইএমএফ। তার ভিত্তিতে পরবর্তী কিস্তির অর্থ বরাদ্দ করা হয়।
‘এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফেসিলিটি’ (ইএফএফ) এবং ‘রেসিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেনেবিলিটি ফেসিলিটি’ (আরএসএফ)— এই দুই প্রকল্পেই পাকিস্তানের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে আইএমএফ। ইএফএফ-এর আওতায় ৭০০ কোটি ডলারের ঋণ মঞ্জুর হয়েছে ইসলামাবাদের। আগেও বেশ কয়েক দফায় এই প্রকল্পে পাকিস্তানকে ঋণ নিয়েছে আইএমএফ। এ বার আরও এক কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলার ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরএসএফ-এর আওতায় ২০ কোটি ডলারের ঋণে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে আইএমএফ। এই নিয়ে দুই প্রকল্প মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩৩০ কোটি ডলার বরাদ্দ হল পাকিস্তানের জন্য।
সোমবার পাকিস্তানের জন্য এই ঋণে অনুমোদনের পরে আইএমএফ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে তারা জানিয়েছে, এক অনিশ্চিত বৈশ্বিক পরিবেশে পাকিস্তানকে সার্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আরও দৃঢ় করার জন্য সঠিক নীতি বজায় রাখতে হবে। সে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করতে, বেসরকারি ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে এবং আর্থিক উন্নয়নের জন্য মধ্যমেয়াদি টেকসই সংস্কারের উদ্যোগে আরও গতি আনতে হবে বলেও মনে করছে আইএমএফ।
বছর দুয়েক আগে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের কাছ থেকে ৭০০ কোটি ডলারের ঋণের প্যাকেজ পেয়েছিল পাকিস্তান। অতিমারির পরে ডলারের তুলনায় পাকিস্তানি মুদ্রার দাম পড়ে গিয়েছিল। পাশাপাশি, ব্যাপক মুদ্রাস্ফীতি এবং জ্বালানির অভাবে ভুগছিল পাকিস্তান। সেই সময় আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের ঋণ পেয়ে কিছুটা চাঙ্গা হয় পাকিস্তানের অর্থনীতি। পরিবর্তে বেশ কিছু শর্তও মানতে বাধ্য ছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই শর্ত পাকিস্তান মানেনি বলে আগেই অভিযোগ তুলেছিল ভারত। এ সবের মধ্যেই গত মে মাসে পাকিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলার ঋণ মঞ্জুর করে আইএমএফ। তখনও আপত্তি জানায় ভারত। যদিও সেই সময়ে আইএমএফের ব্যাখ্যা ছিল, পাকিস্তান এই ঋণের জন্য প্রয়োজনীয় সকল লক্ষ্য পূরণ করেছে। তাই ঋণ মঞ্জুরে কোনও বাধা ছিল না।