sex slaves

নিজের মেয়েদের যৌনদাসী হিসেবে ‘উপহার’ স্বঘোষিত গডম্যানকে

পুলিশ জানিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে নিজেদের সম্পত্তি বাঁচাতে বিত্তশালী প্রতিবেশী লি কাপলানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন পেনসিলভানিয়ার ওই দম্পতি ড্যানিয়েল এবং স্যাভিলা স্টোলজফাস। এলাকায় কাপলান নিজেকে গডম্যান বলে পরিচিতি দিয়েছিলেন। আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাপলান তাঁদের কাছে এক অদ্ভূত শর্ত রাখেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৭ ১৯:১১
Share:

প্রতীকী ছবি

চরম আর্থিক সঙ্কট। নিজেদের ভিটে মাটি বাঁচাতে শেষে এক স্বঘোষিত গডম্যানের কাছে নিজের নাবালিকা মেয়েদের যৌনদাসী করে পাঠালেন মা বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ায়। নাবালিকাদের জোর করে আটকে রাখা ও ধর্ষণের অভিযোগে গত বছরই ওই গডম্যানকে জেলে পোরা হয়। চলতি বছর অগস্টে তাঁর সাজা ঘোষণা করা হবে। আর অভিযুক্ত বাবা, মাকে সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে বাকস কাউন্টি আদালত।

Advertisement

আরও খবর: প্রতিদিন বিমানে চেপে অফিস যান ইনি!

পুলিশ জানিয়েছে, বছর পাঁচেক আগে নিজেদের সম্পত্তি বাঁচাতে বিত্তশালী প্রতিবেশী লি কাপলানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন পেনসিলভানিয়ার ওই দম্পতি ড্যানিয়েল এবং স্যাভিলা স্টোলজফাস। এলাকায় কাপলান নিজেকে গডম্যান বলে পরিচিতি দিয়েছিলেন। আর্থিক সাহায্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাপলান তাঁদের কাছে এক অদ্ভূত শর্ত রাখেন। শর্তটি হল তাঁদের ছয় মেয়েকেই কাপলানের হাতে তুলে দিতে হবে। এই শর্তে রাজি হয়ে প্রথমে নিজেদের বড় মেয়েকে বছর বাহান্নর কাপলানকে ‘উপহার’ দেন ওই দম্পতি। মেয়েটির বয়স তখন তেরো। একে একে বাকি নয় মেয়েকেও পাঠিয়ে দেওয়া হয় কাপলানের ফিয়েসটার ভিলার বাড়িতে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকাদের মধ্যে অন্তত ছ’জনকে ধর্ষণ করেছেন ওই গডম্যান। ধরা পড়ার পর, পুলিশের কাছে ছ’জনকেই নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেন তিনি। এদের প্রত্যেককেই বেসমেন্টে আটকে রাখা হত।

Advertisement

ঘটনাটি প্রথম আঁচ করে পুলিশে খবর দেন কাপলানেরই এক প্রতিবেশী জন বেজ। তাঁর কথায়, ‘‘ওই বাড়িতে অনেক মেয়ে থাকে দেখেছিলাম। এরা সবাই খুব ছোট। কিন্তু কখনও বাড়ির বাইরে খেলতে বার হত না। দেখে মনে হত খুব ভয়ে আর কষ্টে রয়েছে।’’ জনের অভিযোগ পেয়ে কাপলানের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বেসমেন্ট থেকে ওই মেয়েদের উদ্ধার করা হয়। কাপলানকে গ্রেফতার করার পরে তাঁকে জেরা করতেই এই ভয়ানক ঘটনা সামনে আসে। ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন ওই মেয়েদের মা এবং বাবাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন