International News

‘রাজনীতিতে এলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বেধে যাবে’

পেপসিকো ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বরং একটু ফুরসত পেয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত নুয়ি। কাজের বাইরেও যে একটা জগৎ রয়েছে, তা যেন উপলব্ধি করতে পারছেন এখন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮ ১৯:৪৩
Share:

রাজনীতির ময়দানে নামতে চান না নুয়ি। —ফাইল চিত্র।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা মিললেও ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে যোগ দেওয়ার কোনও ইচ্ছাই নেই ইন্দ্রা নুয়ির। কারণ? তিনি অত্যন্ত স্পষ্টবক্তা। রাজনীতির সঙ্গে একেবারই খাপ খাওয়াতে পারেন না। তাই রাজনীতিতে যোগ দিলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারেন। এমনটাই মত মার্কিন বহুজাতিক সংস্থা পেপসিকো-র বিদায়ী সিইও নুয়ির।

Advertisement

মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন তিনি। এশিয়া সোসাইটি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তাঁকে ‘গেম চেঞ্জার অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’-এ সম্মানিত করেছে। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অবদান ছাড়াও তাঁর মানবতামূলক কাজকর্ম এবং বিশ্ব জুড়ে মহিলা ও শিশুদের অধিকার নিয়ে সরব হওয়ার জন্য নুয়িকে সম্মানিত করেছে ওই সংস্থা। ওই অনুষ্ঠানেই তিনি জানান রাজনীতি তাঁর পথ নয়।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের অগ্রণী নরম পানীয় প্রস্তুতকারী সংস্থার সর্বোচ্চ পদে রয়েছেন ইন্দ্রা নুয়ি। ৩ অক্টোবর সংস্থার চিফ এগ্‌জ়িকিউটিভ অফিসার (সিইও)-এর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে সময় নুয়ির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প। অগস্টের গোড়াতে এক নৈশভোজে ভারতীয় বংশোদ্ভূত নুয়িকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী মহিলা হিসাবেও উল্লেখ করেন তিনি। সেই ট্রাম্পের ক্যাবিনেটে কাজের কোনও ইচ্ছা পোষণ করেন কি? এমনটাই জানতে চাওয়া হয়েছিল তাঁর কাছে। তবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে সরে দাঁড়ালেও রাজনীতির ময়দানে নামতে চান না নুয়ি। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে রাজনীতি, একেবারেই খাপ খায় না। আমি অত্যন্ত বেশি মাত্রায় চাঁছাছোলা। একেবারেই ডিপ্লোম্যাটিক নই। এমনকি কূটনীতি কী, তা-ও জানি না। (রাজনীতিতে যোগ দিলে) আমি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধিয়ে ফেলব। ফলে এমনটা বলবেন না!”

Advertisement

আরও পড়ুন
‘আর এক জন সু চি নয়, নাদিয়াকেই চাই’

পেপসিকো ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর বরং একটু ফুরসত পেয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত নুয়ি। কাজের বাইরেও যে একটা জগৎ রয়েছে, তা যেন উপলব্ধি করতে পারছেন এখন। টানা ৪০ বছর দিনে ১৮-২০ ঘণ্টা কাজ করে গিয়েছেন। এ বার নতুন করে ঘুমোতে শিখছেন তিনি। তাঁর কথায়, “যখন পদ ছেড়ে দিলাম, তখন মনে হয়েছিল, এ বার বিষয়টা বেশ কঠিন হবে। গত চল্লিশ বছর ধরে ভোর ৪টেয় উঠে তড়িঘড়ি অফিসে গিয়ে ১৮-২০ ঘণ্টা কাজ করা ছাড়া আর কিছু করিনি।”

আরও পড়ুন
একটা প্লেট ৭৫ কোটি, একটা কম্বল ১১ কোটি! ব্যাপার কী?

পেপসিকো ছাড়ার পর অন্যান্য নানা কাজে মন দিতে চান নুয়ি। তিনি বলেন, “আমাকে ঘুমোনো শিখতে বলা হয়েছে। তার জন্য স্লিপ স্কুলেও যেতে বলা হয়েছে। আমাকে দিনে ৬, ৮, ১০ ঘণ্টা করে ঘুমোনো শিখতে হবে। টেনিস খেলতে হবে। আমি জানি না, এগুলি কী ভাবে করব। তবে এটুকু জানি যে ব্যাপারটা বেশ মজার হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement