টেলিফোনের তার ধরে পালানো নেহাত্ কম কথা নয়! ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
স্মাইল প্লিজ! আরে হাসলে ক্যামেরায় আরও ভাল দেখাবে। একথা বলাই যেত তাকে। তবে সে তখন পালাচ্ছে। আর পালানোর মুডে থাকলে কারই বা হাসিমুখে ক্যামেরায় পোজ দিতে ইচ্ছে করে? তার ওপর টেলিফোনের তার ধরে প্রাণ হাতে করে ঝুঁকির পালানোর রাস্তা খুঁজে পেয়েছে সে। তাই অন্য কোনও দিকে মন নেই। ১৩ ফুট লম্বা আর ৪৫ কিলোগ্রাম ওজন নিয়ে টেলিফোনের তার ধরে পালানো নেহাত্ কম কথা নয়!
এতক্ষণ যার কথা হচ্ছে সে একটি বিশালাকৃতি সাপ। শিকারকে পেঁচিয়ে নিমেষে চূর্ণ করে ফেলা যার কাছে নস্যি। সে-ই এতদিন ছিল গৃহপালিতের দলে! জলের ট্যাঙ্কের মধ্যে তার জীবন যাপন আবদ্ধ ছিল। মালিকের অসাবধানতার সুযোগে খোলা জানলা দিয়ে ‘গৃহসুখ’য়ের বন্দি দশা থেকে নিজেই পালিয়েছে সে। বছর খানেক আগের ব্রিটেনের অ্যাঙ্গলেসির এই অদ্ভুত ঘটনার ছবিতে এখন ছয়লাপ টুইটার।
খোলা জানলা দিয়ে ‘গৃহসুখ’য়ের বন্দি দশা থেকে নিজেই পালিয়েছে সে। ছবি: টুইটারের সৌজন্যে।
এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন রব টেলর নামে এক ব্যক্তি। নর্থ ওয়েলস্ পুলিশের রুরাল ক্রাইম বিভাগে কর্মরত তিনি। সম্প্রতি প্রেসট্যাটনে এই রকম আরও একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক বছর আগের এই ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সে সময় নর্থ ওয়েলস্ পুলিশের রুরাল ক্রাইম বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে ৩০ মিনিট ধরে খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া যায় সেই পোষ্যকে। তার পর মালিকের সঙ্গে নিশ্চিন্তে ঘরে ফেরে সে। মালিকের কাছে সাপ পোষার আইনি অনুমতি থাকায় পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
কিন্তু রবের দাবি, “এই ধরনের ভয়ানক পোষ্য বাড়িতে রাখতে হলে মালিককে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। কারণ অন্যান্যদের জন্য এরা ক্ষতিকারক হতে পারে।” সে আর বলতে! ওয়েব দুনিয়াও ছবি দেখে রবকেই সমর্থন করছে। আপনি বাঁচলে তবে না পোষ্যের নাম!