পোল ডান্সের সেই দৃশ্য।
যে দেশে গুগল, ফেসবুকের ওপর নানা বিধিনিষেধ। সেই রক্ষণশীল দেশের স্কুলে এমন কাণ্ড ঘটে যাবে, কেউ বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি। কিন্তু ব্যাপারটা ঘটল কী ভাবে! ভেবেই তাজ্জব অনেকে। অস্বাভাবিক এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। কিন্তু ঘটনাটি ঠিক কী ছিল?
সপ্তাহের প্রথম দিন, দক্ষিণ চিনের শেনঝেন শহরের কিন্ডারগার্টেন স্কুলটিতে ছিলনতুন ক্লাসের প্রথম দিন। ঝকঝকে ইউনিফর্ম পরে মা-বাবার হাত ধরে প্রথম দিন স্কুলে আসা। কারও আবার নতুন ক্লাসে ওঠা। স্কুল চত্বর গমগম করছিল শ’পাঁচেক কচিকাঁচার কোলাহলে। এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেল ওয়েলকাম ডান্স। যে সে ডান্স নয়। পোল ডান্স।
অভিভাবকদের কারও কারও কাছে এই দৃশ্য পরিচিত হলেও গুটি গুটি পায়ে স্কুলে আসা বাচ্চারা এ রকম নাচ আগে দেখেনি। যে স্তম্ভের গায়ে জাতীয় পতাকা উড়ছে, সেই স্তম্ভর ধরেই অদ্ভূত অঙ্গভঙ্গি করছেন স্বল্পবাস এক মহিলা। কেউ কেউ অস্বস্তিতে মা-কে জড়িয়ে ধরল। কেউ হেসে উঠল খিলখিল করে।
দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: আফ্রিকায় স্বার্থ নেই: চিনা প্রেসিডেন্ট
স্কুল কর্তৃপক্ষের এই কাণ্ডকারখানায় বিরক্ত অনেক অভিভাবকই ছুটেছিলেন স্কুলের প্রিন্সিপাল লাই রং কাছে। বাচ্চাদের স্কুল ছাড়িয়ে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন অনেক অভিভাবক।কিন্তু প্রথমে লাই রং ঘটনার যা ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তাতে অনেকেরই চোখ কপালে ওঠে। এমন ধারার নাচও যে হয়, বাচ্চাদের তা জানাতেই নাকি পোল ডান্সের ভাবনা। ডান্সারও নাকি ছিলেন অসাধারণ, তাই তিনি এই অনুষ্ঠানে না করেননি। তার উপর বাচ্চাদের স্কুলে ছাড়তে আসা অভিভাবকদের মুড ভাল করাও তাঁর এই উদ্যোগের একটা কারণ।
আরও পড়ুন: আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল রিও-র জাদুঘর
স্কুলে পোল ডান্সের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই নড়়েচড়ে বসে স্থানীয় শিক্ষা নিয়ামক সংস্থা। চাপে পড়ে ক্ষমা চান স্কুলের প্রিন্সিপাল। কিন্তু তাতে আর চিঁড়ে ভেজেনি। পরে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়।
অবশ্য চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমকে প্রিন্সিপাল রং বলেন, অনেক অভিভাবক নাকি তাঁর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।