পোপ ফ্রান্সিস
এ বার থেকে গর্ভপাতে ক্ষমা প্রদর্শনের পাকাপাকি অধিকার পাচ্ছেন ক্যাথলিক ধর্মযাজকরা। সোমবার পোপ ফ্রান্সিস লিখিত ভাবে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন।
ক্যাথলিক ধর্মতত্ত্বে গর্ভপাতকে চিরকাল পাপ হিসেবেই দেখা হয়ে এসেছে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনধারায় যে পরিবর্তন এসেছে, পরিবার পরিকল্পনার উপরে জোর যত বেড়েছে, বিশেষত গর্ভধারণের ক্ষেত্রে মেয়েদের সম্মতি থাকা না থাকার অধিকারের প্রশ্নটি যে ভাবে সামনে এসেছে, তাতে অবাঞ্ছিত সন্তানধারণ এড়াতে গর্ভপাতের চল বেড়েছে। মায়ের স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রেও অনেক সময়ই চিকিৎসকরা গর্ভপাতের পরামর্শ দিচ্ছেন। বহু দেশেই গর্ভপাতের পূর্ণ বা সীমিত অধিকার আইনি স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু ধর্মতত্ত্ব বিষয়টিকে কী ভাবে দেখবে, সে প্রশ্নের নিষ্পত্তি হওয়া বাকি ছিল। ক্যাথলিক বিশ্বের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস এ দিন এক রকম করে সেই নিষ্পত্তিটা করে ফেললেন।
২০১৫-১৬ ভ্যাটিকানে ‘জুবিলি ইয়ার অব মার্সি’ অর্থাৎ করুণা ও ক্ষমা প্রদর্শনের বর্ষ হিসেবে পালিত হচ্ছিল। সেই সুবাদে যাজকরা সাময়িক ভাবে গর্ভপাতে ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার পেয়েছিলেন। গত কাল ‘জুবিলি ইয়ার অব মার্সি’ সমাপ্ত হয়েছে। এ দিন কিন্তু ক্ষমার অধিকারকে স্থায়ী অধিকার বলেই ঘোষণা করে দিলেন পোপ। অর্থাৎ ক্যাথলিক চার্চ গর্ভপাতকে সরাসরি স্বীকৃতি দিচ্ছে না ঠিকই। কিন্তু ‘পাপ’ স্খালন করার সুযোগ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। পোপ এ দিনও মনে করিয়ে দিয়েছেন, গর্ভপাত অবশ্যই একটি বড় অন্যায়। নিরীহ প্রাণ নষ্ট হওয়াকে কখনওই সমর্থন করা হচ্ছে না। কিন্তু সেই ‘পাপ’ স্বীকার করলে ‘পাপী’ ক্ষমা পাবেন এবং তাঁদের ক্ষমা করার অধিকার যাজকদের থাকবে। অনুশোচনার মধ্য দিয়ে পাপমুক্ত হওয়া যাবে।