প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বিপর্যস্ত পাকিস্তান। রবিবার সন্ধ্যায় প্রকৃতির তাণ্ডবে পেশোয়ার শহর এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের চরসদ্দা ও নাওসেরা এলাকায় তছনছ হয়ে গিয়েছে ঘরবাড়ি, গাছপালা। এখনও পর্যন্ত এই বিপর্যয়ে ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা। আহতের সংখ্যা ২০০-রও বেশি।
পেশোয়ারের ভূতত্ত্ব সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল মুস্তাক শাহ জানিয়েছেন, কাল ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। তবে ওই এলাকায় এই ধরনের ঝড় একেবারেই নজিরবিহীন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। মুস্তাকের কথায়, হাওয়ার গতি এতটা বেশি থাকার কারণেই ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে ব্যাপক।
ঝড়ের দাপটে কোথাও মাটি সমেত উপড়ে এসেছে গাছ। কোথাও বা উড়ে গিয়েছে বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড। বহু জায়গাতেই ছাদ বা বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন বাসিন্দারা। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গেই চলছে পাল্লা দিয়ে বৃষ্টি। আঁধারে ডুবে গিয়েছে পেশোয়ার আর চরসদ্দার বিস্তীর্ণ এলাকা। বিদ্যুৎ সংযোগের মতোই খারাপ হাল টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থারও।
ইতিমধ্যেই বিপর্যস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ শুরু করেছে পাক সেনা। খারাপ আবহাওয়ার কারণে নেপালে ত্রাণ পাঠানোর জন্য দু’টি বিশেষ উড়ানও আজ বাতিল করে দিতে হয়েছে সেনাবাহিনীকে। আহতদের ভিড়ে এ দিকে উপচে পড়ছে হাসপাতাল। সোমবার দিনভর আহতদের নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স, গাড়ি, ট্রাক ঢুকেছে লেডি রিডিং হাসপাতালে। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় অনেককে রাখতে হয়েছে হাসপাতালের বাইরেই। আহতদের চিকিৎসার জন্য আবার রক্তের হাহাকার দেখা দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।