Prince Charles

Prince Charles: ভাই অ্যান্ড্রুর কীর্তি নিয়ে ‘মুখ খুললেন’ চার্লস

যুবরাজ চার্লস একেবারেই চাইছেন না, ভবিষ্যতে রাজপরিবারের কোনও দায়িত্ব পালন করুন রাজকুমার অ্যান্ড্রু।

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২১ ০৬:২৮
Share:

সদ্য তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা শুরু হয়েছে আমেরিকার আদালতে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন খোদ ব্রিটেনের যুবরাজ চার্লস। এই পরিস্থিতিতে তিনি একেবারেই চাইছেন না, ভবিষ্যতে রাজপরিবারের কোনও দায়িত্ব পালন করুন রাজকুমার অ্যান্ড্রু। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, চার্লসের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে এমনটাই

Advertisement

দাবি করেছে একটি প্রথম সারির ব্রিটিশ দৈনিক।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের তৃতীয় সন্তান, ডিউক অব ইয়র্ক, রাজকুমার অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার প্রথম অভিযোগ উঠেছিল ২০১৫ সালে। তখন সরাসরি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে নাবালিকা নির্যাতনের আইনে মামলা দায়ের করেছেন ভার্জিনিয়া রবার্টস জিয়োফ্রে। ভার্জিনিয়ার অভিযোগ, ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০২ সালের মধ্যে একাধিক বার তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন রাজকুমার অ্যান্ড্রু। যে সময়ের কথা ভার্জিনিয়া উল্লেখ করেছেন, তখন তিনি নাবালিকা ছিলেন, বয়স ছিল ১৭। ভার্জিনিয়ার সঙ্গে অ্যান্ড্রুর একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল আগেই। অ্যান্ড্রু অবশ্য ছবিটি ভুয়ো বলে দাবি করে গোটা ঘটনা অস্বীকার করেন। কিন্তু এখন ৬১ বছরের অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে মামলা শুরু হওয়ায় অস্বস্তিতে গোটা রাজ পরিবার।

Advertisement

চার্লসের ঘনিষ্ঠ সেই ব্যক্তি ওই দৈনিককে জানিয়েছেন, যুবরাজ তাঁর ভাইকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। কিন্তু এই অভিযোগ গোটা পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছে বলে মনে করেন তিনি। চার্লসের মতে, এর পর থেকে রাজ পরিবারের কোনও অনুষ্ঠানে অ্যান্ড্রু অংশ নিলে বিতর্ক বাড়বে। মামলা শুরুর খবর শুনেই মায়ের সঙ্গে দেখা করতে স্কটল্যান্ডের বালমোরাল প্রাসাদে ছুটে গিয়েছেন রাজকুমার অ্যান্ড্রু ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সারা ফার্গুসন। আপাতত দেশের সেরা আইনজীবীদের পাশে বসিয়ে মামলা নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত তাঁরা।

২০১৯ সালেই মোট ২৩০টি দাতব্য সংগঠন থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু। কমপক্ষে ৫০টি সংগঠন তাঁকে আর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রাখতে চায় না। যৌন হেনস্থার মামলা শুরু হওয়ার পরে অ্যান্ড্রুর উইনসর গ্রেট পার্কের বাসভবনে আইনি সমন পৌঁছেছে। আগামী একুশ দিনের মধ্যে সেই সমনে সই করে তার জবাব পাঠালে কিছুটা সময় পাবেন রাজকুমার। জবাব না দিলে তাঁকে অপরাধী হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। তবে ব্রিটিশ আইনের চোখে ডিউক অব ইয়র্কের অপরাধ আদৌ গণ্য হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে এই মামলা রাজপরিবারের সদস্যদের কাছে একটা বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন