নেপালে নিষিদ্ধ হল পাবজি। ছবি: এপি।
শিক্ষকরা দেখছেন পড়াশোনায় অমনযোগী হয়ে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। মা-বাবা দেখছেন তাঁদের সন্তানের আচরণে কেমন যেন আগ্রাসী ভাব। তাঁরা সবাই লক্ষ্য করেছেন, মোবাইল হাতে নিলেই ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা আশেপাশে তাকাতেও ভুলে যাচ্ছে। এই সমস্যাগুলির কারণ একটাই, পাবজি গেমে আসক্তি। পাবজির ভয়ানক আসক্তির হাত থেকে সন্তানদের রক্ষা করতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা। সেই জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে পাবজিকে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিল আদালত।
পাবজিকে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ সম্প্রতি দিয়েছে কাঠমাণ্ডুর ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট। আদালতের এই রায়ের পর নেপাল জুড়ে পাবজিকে নিষিদ্ধ করতে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ও মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারদের নির্দেশ দিয়েছে নেপাল টেলিকমিউনিকেশন অথরিটি। যত দ্রুত সম্ভব পাবজির লিঙ্ক ব্লক করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে তাদের।
নেপালের মেট্রোপলিটন ক্রাইম ডিভিশনের প্রধান ধীরজ প্রতাপ সিংহ সে দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘শিশুদের উপর এই গেমের প্রভাব নিয়ে অভিভাবক, শিক্ষক ও স্কুলের তরফে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়ছিল। মনোবিদদের সঙ্গে এই নিয়ে পরামর্শের পরেই পাবজিকে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’’
এর আগে ভারতের অমদাবাদেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল পাবজি গেম। পাবজি আসক্তির জেরে দুর্ঘটনা, পারিবারিক অশান্তি এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদের খবরও হামেশাই দেখা যায়।
আরও পড়ুন: জাপানের গোটা একটা দ্বীপ জুড়ে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রস্তাব যুবকের